তুরস্ক, সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৪৫,০০০ ছাড়িয়ে যাওয়ায় নিম্নমানের নির্মাণ নিয়ে ক্ষোভ |
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের ১১ দিন পর উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে তিনজনকে বের করে এনেছেন। ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ৪৫ হাজার জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে এবং ৪০টিরও বেশি আফটারশক যা হাজার হাজার বাড়িতে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে।
যদিও অনেক আন্তর্জাতিক উদ্ধারকারী দল বিশাল ভূমিকম্প অঞ্চল ছেড়ে গেছে। বেঁচে থাকা লোকেরা এখনও সমস্ত প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে বহু সমতল ঘরের নীচ থেকে বেরিয়ে আসছে।
জাতিসংঘ তুর্কি ত্রাণ অভিযানের জন্য ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি তহবিলের জন্য আবেদন করেছে এবং সিরীয়দের জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলারের আবেদন শুরু করেছে।
গত সপ্তাহের বিশাল ভূমিকম্পে তাসের ঘরের মতো বাড়ি ভেঙে পড়ায় নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে।
ভূমিকম্পের ২৭৮ ঘণ্টা পর তুরস্কে উদ্ধার হওয়া তিনজনের মধ্যে হাকান ইয়াসিনোগ্লু (৪০) ছিলেন। এর আগে, তুরস্কের ঐতিহাসিক শহর আন্তাকিয়ায় ওসমান হালেবিয়ে (১৪) এবং মুস্তফা আভিসি (৩৪) রক্ষা পান।
উদ্ধারকর্মীরা সারা সপ্তাহ ধরে বেঁচে থাকাদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন। যদিও তারা ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে এতক্ষণ আটকে আছে, খাবার ও জল ছাড়াই। তাই জীবিত থাকার সম্ভাবনা কমছে।
ভূমিকম্প তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ নিয়েছে। কয়েক হাজার আহত হয়েছেন এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ হিমাঙ্কের তাপমাত্রায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। ভূমিকম্পে প্রায় ২,৬৪,০০০ অ্যাপার্টমেন্ট ভেঙে গেছে।
প্রতিবেশী সিরিয়ায়, ইতিমধ্যে এক দশকেরও বেশি গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত। কর্তৃপক্ষ ৫,৮০০ জনেরও বেশি মৃত্যুর খবর দিয়েছে। নিম্নমানের বিল্ডিং নির্মাণ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে বলে তুর্কি সরকার বিল্ডিং ডেভেলপারসহ ১০০ জনেরও বেশি সন্দেহভাজনকে আটকের নির্দেশ দিয়েছে। অনেকের ধারণা নিম্নমানের ভবনগুলো ভূমিকম্পকে আরও বিধ্বংসী করে তুলেছে।