ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল তাণ্ডব নিউজিল্যান্ডে। এবার নিউজিল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় গ্যাব্রিয়েল। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে অস্ট্রেলিয়ার তাসমান সাগরের নরফোক দ্বীপপুঞ্জের কাছে একটি ঘূর্ণিঝড় ঘনীভূত হয় যার নাম গ্যাব্রিয়েল। ফলে নিউজিল্যান্ডের বহু এলাকায় ঘর বাড়ি ভেঙেছে, ভেঙে গিয়েছে পানীয় জলের ব্যবস্থাও।
বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ নেই। ব্যাহত হয়েছে বিমান চলাচল। ব্যাহত হয়েছে জনজীবন। এই পরিস্থিতিতে অকল্যান্ডসহ উত্তরাঞ্চলের পাঁচটি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। পুরো পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখা হয়েছে। বাড়ছে উদ্বেগ।
নিউজিল্যান্ডে ঘূর্ণিঝড় গ্যাব্রিয়েল আঘাত হানার পর দেশটির ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। গ্যাব্রিয়েলার তাণ্ডবে প্রবল বন্যা ও ধসের কবলে পড়েছে নর্থ আইল্যান্ড। সমুদ্রে বিশাল ঢেউ উঠছে।
এ বিষয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় গ্যাব্রিয়েলের মতো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় নিউজিল্যান্ডের কয়েক প্রজন্ম দেখেনি।
আজ বুধবার ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে উত্তর দ্বীপ থেকে দূরে সরে গেলেও বহু মানুষ এখনও তাদের ঘরবাড়িতে ফিরতে পারেনি। বহু মানুষকে সাঁতরে নিরাপদ স্থানে যেতে বাধ্য হতে হয়েছে। আরও বেশ কিছু মানুষকে বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
উপকূলীয় এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পর বন্যার জলে একটি এলাকা সম্পূর্ণ ডুবে গেছে, ওই এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এই অঞ্চলের প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ বলছে যে, তাঁরা ক্ষয়ক্ষতির মাত্রার সঙ্গে পেরে উঠছেন না। অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বুধবার হকস বে এলাকায় দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে যে, তাঁরা অকল্যান্ডের পশ্চিমে মুরিওয়াইতে ভূমিধসে আটকা পড়া একজন নিখোঁজ দমকলকর্মীর মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে যে হক’স বের কিছু বাসিন্দাকে বেডরুমের জানালা দিয়ে সাঁতার কেটে বের হতে হয়েছে। জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে যে তারা কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় থাকতে পারে।