গত একবছর ধরে অর্থনৈতিক সঙ্কট ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় ভুগছে পাকিস্তান। অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে IMF-এর কাছে হাত পাতছে শাহবাজ শরিফের সরকার। (ছবি: AFP)
পাকিস্তানিরা নিত্যদিনের জিনিসপত্রের দামবৃদ্ধিতে হিমশিম খাচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণে পাকিস্তানে সব প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানি করতে পারছে না। এ কারণে পাকিস্তানে আটা থেকে পেঁয়াজের ঘাটতি বেড়েছে, দামও আকাশ ছোঁয়া। (ছবি: AFP)
অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলায় পাকিস্তান সরকার IMF-এর ১.১ ডলার বিলিয়ন তহবিল চেয়েছে। কিন্তু IMF এখনও বেলআউট প্যাকেজ অনুমোদন করেনি। পাকিস্তানের জনগণের সামনে প্রতিদিনই কোনও না কোনও অসুবিধা তৈরি হচ্ছে। মাঝে মাঝে বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে সরকার। কখনও কখনও পেট্রল-ডিজেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে।
পাকিস্তানে মূল্যবৃদ্ধির হার রেকর্ড ভেঙেছে। ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যবৃদ্ধির হার রেকর্ড করা হয়েছে ৩১.৫ শতাংশ, যা ১৯৭৪ সালের পর অর্থাৎ প্রায় ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
পাকিস্তানে এক কেজি পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। ৯ মার্চ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫৭ টাকা কেজি দরে। যেখানে ঠিক এক বছর আগে ২০২২ সালের ১০ মার্চ পাকিস্তানে পেঁয়াজের দাম ছিল প্রতি কেজি ৩৯ টাকা, অর্থাৎ এক বছরে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩০৫.২ শতাংশ। ২০ কেজি গমের আটা ১,৭৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
২০২২-এর মার্চ মাসে ২০ কেজি আটার দাম ছিল ১,১৬০ টাকা। এক বছরে গমের আটার দাম বেড়েছে ৫৩.১ শতাংশ। ১০ মার্চ, ২০২২-এ, পাকিস্তানে এক কেজি ব্রয়লার মুরগি ৩০৪ টাকা। ৯ মার্চ, ২০২২-এ এর দাম ৪১.৩ শতাংশ বেড়ে প্রতি কেজি ৪২৯ টাকায় পৌঁছেছে।
১০ মার্চ ২০২২-এ ১১.৬৭ কেজি রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের (LPG) দাম ছিল ২,৫১৮ টাকা। এখন এই দাম ৩৬.৮ শতাংশ বেড়ে সিলিন্ডার প্রতি ৩,৪৪৫ টাকা হয়েছে। বার্ষিক ভিত্তিতে সরষের তেলের দাম বেড়েছে ৩৬.৩ শতাংশ। ১০ মার্চ, ২০২২ এ, এক কেজি সরষের তেল প্রতি কেজি ৪৩৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ৯ মার্চ, ২০২৩-এ, সরষের তেলের দাম কেজি প্রতি ৫৯৫ টাকা হয়েছে।
২০১৯, ৬ বিলিয়ন ডলারের বেলআউট প্যাকেজ নিয়ে পাকিস্তান এবং IMF-এর মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। পরের বছর এই প্যাকেজ এক বিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে ৭ বিলিয়ন ডলার করা হয়।
কিন্তু, ২০১৯-এ ৬ ডলার বিলিয়ন বেলআউট চুক্তির অধীনে ১.১ বিলিয়ন ডলারের প্রথম কিস্তি প্রকাশের বিষয়ে পাকিস্তান এবং IMF-এর মধ্যে এখনও চুক্তি হয়নি।