জার্মান বায়োটেক সংস্থা বায়োএনটেক সঙ্গে যৌথভাবে এই ভ্যাকসিন তৈরি করছে মার্কিন ওষুধ নির্মাতা সংস্থা ফাইজার। তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে ৯০ শতাংশেরও বেশি কার্যকর তাদের ভ্যাকসিন বলে দাবি করেছে সংস্থা দু'টি। ফলে চলতি মাসের শেষের দিকেই ভ্যাকসিনটির জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন মেলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
করোনা ভ্য়াকসিন তৈরিতে ক্লিনিকাল ট্রায়ালে এই প্রথম কোনও সংস্থা এত বড় মাপের সাফল্যের মুখ দেখল। জানা যাচ্ছে, এই মাসের শেষের দিকেই ভ্যাকসিন তৈরির জরুরিকালীন অনুমোদন চাইতে পারে সংস্থা দুটি ।
এই অবস্থায় মার্কিন স্বাস্থ্য সচিব অ্যালেক্স অ্যাজার বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফাইজারের টিকার বিতরণ শুরু হতে পারে ডিসেম্বরেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে হারে ফের করোনা দাপট বেড়েছে সেই দিক থেকে এই ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ফাইজারের ভ্যাকসিন নিয়ে আশার আলো তৈরি হয়েছে ভারতেও। ফাইজারের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনার ইজ্ঞিত দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকও। ভারত সরকারকে করোনা ভ্যাকসিন বেচার বিষয়ে আলোচনা করছে ফাইজারও। ফাইজার ইন্ডিয়ার মুখপাত্র জানিয়েছেন যে যত দ্রুত সম্ভব ভারতে টিকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
ফাইজারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা আশা করছেন চলতি বছরেই ৫ কোটি ডোজ তৈরি করতে পারবেন। আগামী বছর ১৩০ কোটি ডোজ প্রস্তুত হবে। যে সব দেশের সঙ্গে চুক্তি হবে, তাদের কাছে টিকা পৌঁছে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে ফাইজার।
তবে ফাইজারের টিকা নিয়ে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে টিকার দাম এবং সংরক্ষণ-ব্যবস্থা। ফাইজারের টিকা সংরক্ষণ করতে হবে মাইনাস ৭০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায়। কিন্তু দেশের বড় শহরের হাসপাতালগুলিতেও এই ধরনের তাপমাত্রা যুক্ত হিমঘর উপলব্ধ নয়, যেখানে ভ্যাকসিন খুব কম তাপমাত্রায় থাকতে পারবে। আর সেই কারণেই ফাইজারের করোনা ভ্যাকসিন ভারতের গ্রাম্য এলাকায় অথবা দরিদ্র দেশে পৌঁছে দেওয়া একপ্রকার চ্যালেঞ্জ।
মেডিক্যাল বিজ্ঞানী ডাঃ গগনদীপ কাঙ্গ জানিয়েছেন ফাইজার করোনা ভ্যাকসিন হল এমআরএনএ ভ্যাকসিন। যদিও ফাইজারের তরফ থেকে এখনও তাদের ভ্যাকসিনের মূল্য কত হবে তা নির্ধারণ করা হয়নি, কিন্তু গগনদীপ কঙ্গ বলেন, ‘ভারতের জন্য আরএনএ ভ্যাকসিন খুবই মূল্যবান।'