Tuskless Elephant: কথায় বলে, হাতির দাঁত খাওয়ার আলাদা, দেখানোর আলাদা। এই দাঁত তাদের অনেক কাজে লাগে। আবার একই জিনিস তাদের জন্য বিপদও ডেকে আনে।
কাজের জিনিস
দাঁত তাদের অনেক উপকারে লাগে, সন্দেহ নেই। যেমন কোথাও জল আছে কিনা, তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজে, খাবার মানে ছুলতে বা অন্য প্রাণীর সঙ্গে দাদাগিরি দেখাতে!
বিপদের হাতছানি
এ তো গেল দাঁতের কাজের জিনিস বা ভাল অংশ। কিন্তু সেই জিনিসটাই যেন তাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে গিয়েছিল।
গবেষণা বলছে
গৃহযুদ্ধ এবং পাচারের ফল হয়েছে মারাত্মক। মোজাম্বিকের ঘটনা তো তাই বলছে। সেখানকার হাতিদের বড়সড় অংশের আর দাঁত গজাচ্ছে না।
১৯৭২ সাল থেকে সেখানে চলথে গৃহযুদ্ধ। যা চলেছিল ১৯৯২ সাল পর্যন্ত। আর তখন দু'পক্ষই দেদার যেন লুঠ চালিয়েছিল।
হাতির দাঁত তাদের অন্যতম ভরসা ছিল নিজেদের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য। আর তাই একের পর এক হাতি খুন করা হয়েছিল। যাতে দাঁত পাওয়া যায়। এবং বিক্রি করে লড়াইয়ের টাকার জোগান বজায় রাখা যায়।
দেখা যাচ্ছে, সেখানকার গোরোংগোসা জাতীয় উদ্যান (Gororngosa National Park)-এ থাকা ৯০ শতাংশ হাতি আর নেই। এখন যারা টিকে রয়েছে, সেই হস্তিনীর অর্ধেকের দাঁত গজাচ্ছে ন। যুদ্ধের আগে পাঁচ ভাগের এক ভাগ এমন ছিল।
মানুষের যেমন চোখের রঙ, তেমনই হাতির দাঁত নির্ভর করছে জিনের ওপর। আফ্রিকার হাতিদের মধ্য়ে দাঁত না থাকাটা বেশ দুর্লভ ঘটনা ছিল। এটা যেন দুর্লভ রঙের চোখের মণি সবারই দেখা যাচ্ছে।
যুদ্ধ শেষের ছবি
যুদ্ধ শেষের পর দেখা যাচ্ছে, যে দাঁতহীন হস্তিনী টিকে রয়েছে, তাদের গুণ পেয়েছে পরের প্রজন্ম। আর ফল হয়েছে অভাবনীয়। নয়া প্রজন্মের অর্ধেকের বেশি মহিলা শাবকের দাঁত দেখা যাচ্ছে না।
বিজ্ঞানীরা যা জানাচ্ছেন
এ ব্য়াাপারে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবর্তন বিশেষজ্ঞ শেন ক্যাম্পবেল-স্টাটন জানান, এই ক'বছরের অস্থিরতা ওই প্রাণীর জনসংখ্য়ায় প্রভাব ফেলেছে।
তিনি তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে এ ব্য়াপারে আরও কারণ খোঁজার চেষ্টা করেছেন। কীভাবে পাচার ওই প্রাণীর জীবনে ছাপ ফেলেছে, তা দেখতে চেয়েছেন।