আফগানিস্তান তালিবানদের দখলের পর দেশ ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। বর্তমানে ওমানে থাকলেও, তিনি আমেরিকায় যেতে পারেন বলে সম্ভাবনা। আগে বলা হচ্ছিল তিনি তাজিকিস্তানে পৌঁছেছেন, কিন্তু তাঁর বিমান সেখানে নামার অনুমতি পায়নি। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মহিব। আশরাফ ঘানি দেশ ছাড়ার আগে বলেছিলেন, তিনি দেশ ত্যাগ করেছেন যাতে আফগানিস্তানে আর রক্তপাত না হয়। কিন্তু তার এই পদক্ষেপে আফগানিস্তানের নাগরিকরা খুবই ক্ষুব্ধ।
কাবুল দখলের ১০ দিন আগে তিনি বলেছিলেন কোনও পরিস্থিতেই তিনি দেশ ছাড়বে না। সেসময় তিনি বলেছিলেন, আফগানিস্তানের সম্রাট আমাউল্লাহকে সম্মান করেন কিন্তু আমানউল্লাহ পালিয়ে গেছেন, কিন্তু আমি পালাবো না।
.@SaraMassoumi: ten days ago Ashraf Ghani said he respects #Afghanistan's revered King Amaullah but Amanullah fled, and I will not flee !!" #Kabul https://t.co/ghZm8yJgb7
— Vali Nasr (@vali_nasr) August 15, 2021
প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা অমান্য করে দেশকে এভাবে ফেলে রেখে পালিয়ে যাওয়ায় বিভ্রান্ত ও ক্ষুব্ধ গোটা দেশ।
হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশনের সভাপতি আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁর ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে বলেছেন, "আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আফগানিস্তান ত্যাগ করেছেন, তিনি নিজেই দেশ ছেড়েছেন। আল্লাহ অবশ্যই তাদের জবাব দেবেন।"
আরেক আফগান রাজনীতিবিদ আশরাফ ঘানির মনোভাবের প্রতি চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন। আল জাজিরার সঙ্গে কথোপকথনে সেই রাজনীতিবিদ আশরাফ ঘানির দেশ ত্যাগকে আফগানিস্তানের জন্য অপমান বলে অভিহিত করেছেন।
শনিবার এই রাজনীতিবিদ আশরাফ ঘানির বক্তব্যকে আফগানদের কাছে মিথ্যা বলার উদাহরণ বলে অভিহিত করেছেন। টেলিফোন থেকে পড়া সেই ভাষণে আশরাফ ঘানি অস্থিতিশীলতা, সহিংসতা এবং স্থানচ্যুতি রোধে মনোযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এরপর দেশের সবচেয়ে বড় দুটি শহর জালালাবাদ এবং মাজার-ই-শরিফ তালিবানদের দখলে চলে যায়।
আশরাফ ঘানি দেশ ছাড়ার কয়েক ঘণ্টা আগে রবিবার সকালে উত্তরের প্রদেশ বালখেরের প্রাক্তন সেনাপতি আতা মোহাম্মদ নূর সরকারকে "কাপুরুষোচিত ষড়যন্ত্র" বলে কটাক্ষ করেন। ঘানির দীর্ঘদিনের সমালোচক নূর বলেন, তালিবানদের হাতে প্রদেশের উত্তরাধিকারী হওয়া সরকারের পরোক্ষ পরিকল্পনার অংশ। কিন্তু সরকার জনগণকে এ ব্যাপারে মোটেও জানায়নি, বলে তাঁর অভিযোগ।
গত মাসে পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাটি প্রদেশের প্রাক্তন মুজাহিদিন কমান্ডার ইসমাইল খান আল জাজিরাকে একই কথা বলেছিলেন, দাবি করেছিলেন যে দেশের জেলাগুলিতে তালেবানদের দখলের পিছনে একটি "ষড়যন্ত্র" রয়েছে।
গত মাসে পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাটি প্রদেশের প্রাক্তন মুজাহিদিন কমান্ডার ইসমাইল খান আল জাজিরাকে একই কথা বলেছিলেন, দাবি করেছিলেন যে দেশের জেলাগুলিতে তালেবানদের দখলের পিছনে একটি "ষড়যন্ত্র" রয়েছে।