রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আলেক্সি নাভালনি তার ব্লগে গুরুতর অভিযোগ করেছেন। আলেক্সি বলেছেন যে পুতিনের তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকার জন্য ১০০ বিলিয়ন রুপি খরচা করে বাড়ি বানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় ১৭ বছরের লাভ চাইল্ডের জন্যও প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন তিনি। আলেক্সি তার ব্লগে দাবি করেছিলেন যে স্ট্রিপ ক্লাব, ক্যাসিনো, ডান্স মেট, স্পা, থিয়েটারের মতো বিষয়গুলি পুতিনের বাড়িতে উপস্থিত রয়েছে। এখানে একটি বন্দর, পারমিট সিস্টেম এবং সীমান্ত চেক পয়েন্টও রয়েছে। একই সঙ্গে, তিনি তার সর্বশেষ ভিডিওতে পুতিনের লাভ চাইল্ড লুইসাকে নিয়ে কথা বলেছেন।
রাশিয়ার তদন্তকারী সাইট প্রেক্টেরর মতে, নব্বইয়ের দশকে পুতিনের সাথে দেখা লুইজার মা স্বেতলানার যখন দেখা হয় তখন সে হাউস কিপারের কাজ করত। স্বেতলানা অর্থনীতিতেও ডিগ্রি ছিল।অন্যদিকে পুতিন ছিলেন এফএসবির প্রধান। পুতিন তখন বিবাহিতও ছিলেন। ২০০৩ সালে, পুতিনের লাভ চাইল্ড হিসাবে পরিচিত, এলিজাবেতা ওরফে লুইজা জন্ম নেয়। জানা যায় এরপর ২০০৩ সালেই পুতিন তার স্ত্রী থেকে আলাদা হয়ে যান। (ছবি সৌজন্যে: লুইসার ইনস্টাগ্রাম)
দ্য সান-এর প্রতিবেদন অনুসারে, আলেক্সি লুইজার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে কথা বলেছেন। লুইসাকে তার অ্যাকাউন্টে বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের পোশাকের সাথে দেখা গেছে। তাকে একটি ছবিতে গুচির মাস্ক পরে থাকতেও দেখা যায়। কিছু ছবিতে দেখা যায় করোনা মহামারি চলাকালীন তিনি তাঁর বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে শ্যাম্পেন এবং ককটেল উপভোগ করছেন। (ছবি সৌজন্যে: লুইসার ইনস্টাগ্রাম)
আলেক্সি এই ভিডিওতে বলেন- ৪৫ বছর বয়সী স্বেতলানা যখন নব্বইয়ের দশকে পুতিনের সাথে দেখা করেছিলেন, তখন তিনি ছিলেন এক সাধারণ হাইস কিপার, কিন্তু আজ তিনি খুব ধনী মহিলা এবং রাশিয়া ব্যাঙ্কের শেয়ারহোল্ডারও বটে। এত দ্রুত তিনি কীভাবে এই সাফল্য অর্জন করেছেন তা কেউ জানে না। তবে আমার কাছে এর একটা উত্তর আছে। নব্বইয়ের দশকে পুতিনের সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন স্বেতলানা। তিনি ২০০৩ সালে লুইসাকে জন্ম দিয়েছিলেন। তারপরে পুতিনের অভিজাত বন্ধুদের থেকে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট পান। পুতিনের সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে তিনি রাশিয়া ব্যাঙ্কের অংশীদারও হন। (ছবি সৌজন্যে: লুইসা ইনস্টাগ্রাম)
লক্ষণীয় বিষয় হল, আলেক্সি গত ৫ মাস ধরে জার্মানিতে ছিলেন। কয়েকদিন আগে মস্কোয় তার ওপর আক্রমণ তালান হয়েছিল। আলেক্সি পুতিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন যে পুতিনের লোকেরা তাকে বিষ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। জার্মানি থেকে রাশিয়ায় ফিরে আসার পর আলেক্সিকে জেলে পাঠান হয়েছে। পুতিনের এই সিদ্ধান্তকে বহু দেশ সমালোচনা করেছে। আলেক্সি বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই পুতিনের নীতিগুলির বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে আওয়াজ তুলছেন। অতীতে তার দুটি মারাত্মক হামলাও চালান হয়েছিল। এদিকে নাভালনিকে হত্যার চক্রান্ত নিয়ে পুতিনের দাবি, আলেক্সিকে বিষ খাইয়ে হত্যা করতে হলে তার লোকেরা সেই কাজ করেই আসত।