আচমকা আকাশ থেকে নেমে আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ। ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস শহরের টেক্সারকানায়। সেখানকার প্রশাসন মাছ-বৃষ্টির ছবি নেট মাধ্যমে দিয়েছে। সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন সাধারণ মানুষ। মাছগুলি ধরে নিয়ে গিয়েছেন।
মৎস্য-বৃষ্টির সময় অনেকেই মনে করেছিলেন বোধহয় শিলা পড়ছে। সে কারণে কেউ বাইরে বেরোননি প্রথমে। কিন্তু বৃষ্টি থামার পর তাঁরা দেখতে পান, চারপাশে শুধু শুধু মাছ আর মাছ।
দ্য টেক্সারকানা গ্যাজেট সংবাদপত্র এক টায়ার এজেন্সির ম্য়ানেজার ট্রাম ব্রিঘমকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, আকাশ থেকে মাছেদের নীচে পড়তে দেখেছেন তিনি। তাঁর টায়ারের দোকানের ছাদে ২৫-৩০টি মাছ পড়ছে। প্রতিটি ৬ থেকে ৭ ইঞ্চি লম্বা।
ট্রাম জানিয়েছেন, গোটা শহরে মাছ ভরে গিয়েছে। সেই সঙ্গে দুর্গন্ধও ছড়াচ্ছে। মনে হচ্ছিল, কেউ মাছের বাজারে দাঁড়িয়ে আছে। আশেপাশের মাছগুলি তোলার জন্য কর্মচারীদের পাঠান ট্রাম। যাতে সেগুলির উপর ভুল করে পা দিয়ে দুর্ঘটনা না ঘটে।
ট্রাম বিঘ্রম জানান, উঁচু থেকে পড়েছিল বলে মাছেদের মাথা ফাটা ছিল। মাছগুলি নীচে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে লাফালাফি করছিল। তার পর মরে যাচ্ছিল।
এমনই একটি ঘটনা গাড়ি সংস্থার দোকানের সামনেও ঘটেছে। টাইগার স্টেডিয়ামে ফুটবলের অনুশীলন চলছিল। আচমকা মাছ পড়ায় হতবাক হন অনুশীলনরত ফুটবলাররা। খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন।
কেন মাছবৃষ্টি? সমুদ্র থেকে উঠে এসে স্থলভাগে আঘাত করে টর্নেডো। টর্নেডোর প্রবল গতির মধ্যে আটকে যায় ছোট মাছ, কাঁকড়া ও সামুদ্রিক জীব। স্থলভাগে পৌঁছতে কমজোর হয় টর্নেডো। সেই সঙ্গে ঝড়ের সঙ্গে থাকা মাছগুলিও নীচে পড়তে থাকে।
মার্কিন জাতীয় মৌসম বিভাগের বিজ্ঞানী গ্যারি শেটলিয়ন জানান, ঠিক যেভাবে ঝড় নোংরা, আবর্জনা এক জায়গা থেকে উড়িয়ে আর এক জায়গায় ফেলে এই ঘটনাও তেমনই। সমুদ্রের মাছ ঝড়ের সময় অনেকটা নীচে চলে যায়। কিন্তু ছোট জলাশয়ের মাছের কাছে সেই সুযোগ থাকে না। তারা ঝড়ে ফেঁসে যায়।