সৌরজগতের মাঝখানে বসে রয়েছে সূর্য। যা সব শক্তির উৎস। এর পাশাপাশি এটি তাপ এবং আলো দেয়। যার সাহায্যে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে।
মহাকাশে নিত্য ঘটে চলেছে একের পর এক ঘটনা। মহাজাগতিক ঘটনার শেষ নেই। আমাদের সৌরজগৎ তারই অংশ। আর তার প্রভাব সেখানেও পড়ে।
দিন কয়েক আগে সৌর শিখার দাপট দেখে গিয়েছিল। আর এর জেরে আটলান্টিক কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এবার আসতে চলেছে সৌরঝড়। খুব বেশি দেরি নেই। আর এর প্রভাব পড়তে চলেছে পৃথিবীতেও। একে বলা হচ্ছে, ভূচুম্বকীয় ঝড় (জিওম্যাগটেনিক স্টর্ম)। পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র্রে এর প্রভাব পড়বে। বিশেষজ্ঞরা তেমনই মনে করছেন।
ইন্টারনেটে প্রভাব
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীতা আবদু জ্য়োতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, সৌর ঝড়ে সমস্যা হতে পারে ইন্টারনেট এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা।
সেখানে তিনি বলছেন, হয়তো ওই ঘটনা পুরোপুরি এড়ানো যাবে না। তবে সব জায়গা সমান ভাবে প্রভাবিত হবে না। কোন এলাকায় প্রভাব পড়তে চলেছে, তা-ও নির্ভর করে। যেমন আমেরিকায় এর প্রভাব পড়বে বেশি। আর এশিয়ায় প্রভাব পড়ের সম্ভাবনা সবথেকে কম।
সম্প্রতি সূর্যের নিরক্ষীয় অঞ্চলে ফেটে পড়েছিল সৌর শিখা। আর তার জেরে প্রভাব পড়তে পারে পৃথিবীতেও। কারণ এটি পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে ধাক্কা দিতে পারে।
কোথায় প্রভাব পড়তে পারে
পৃথিবীকে কেন্দ্র করে অনেক কৃত্রিম উপগ্রহ ঘুরছে। সেগুলির ওপর প্রভাব পড়তে পারে। আর এর জেরে জিপিএস নেভিগেশন, মোবাইল ফোন সিগন্যাল, স্যাটেলাইট টিভি পরিষেবা প্রভাবিত হতে পারে।
তবে শুধু এখানেই শেষ নয়, এর প্রভাব আরও থাকতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে দুনিয়ার বেশ কিছু জায়গার বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সরবরাহের গ্রিডে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, সেখানে তৈরি হওয়া প্রবল হাওয়া ভূচুম্বকীয় ঝড়ে পরিণত হতে পারে। আর তা ধাক্কা দেবে পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রকেও।
ভূচুম্বকীয় ঝড় কী
এ ব্য়াপারে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এটা এমন একটা ঝড় যা পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রেকে ধাক্কা দেয়। এটা সাধারণত তখন হয়, যখন সৌর বাতাসের জেরে তৈরি হওয়া শক্তি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের আশপাশে ঢুকে সমস্যা তৈরি করে।
আরও পড়ুন: Netaji Subhas Open University : NSOU তাদের পড়ুয়াদের জন্য আনল ইন্টারনেট রেডিও 'মুক্তক'
ন্য়াশনাল ওশায়ানিক অ্যান্ড অ্য়াটমোস্ফেরিক অ্য়াডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) জানাচ্ছে, সৌর বাতাসের ফলে কারেন্ট, প্লাজমার পরিবর্তন হয়। আর তার ফলে তৈরি হয় ওই ঝড়। তবে ঘটনা হল, ভূচুম্বকীয় ঝড় তৈরি হতে গেলে বড়সড় সময়ের জন্য প্রবল গতিবেগের সৌর বাতাস থাকতে হবে। আর তারপরই পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে থাকা বাতাসের শক্তি সেটা বদল করত পারে।