পড়ুয়াদের সুবিধার জন্য ইন্টারনেট রেডিও আনল নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (Netaji Subhas Open University বা NSOU)। সেখানে থাকবে অধ্যাপকদের রেকর্ড করা অডিও। ফলে পড়ুয়ারা তা শুনতে পারবেন। ইন্টারনেট যাতে পড়ুয়াদের লেখাপড়ার পথে বাধা না হয় তাই এই ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: The National Flag of India : জাতীয় পতাকায় পরিবর্তন চেয়েছিলেন সত্যজিৎ, কারণ জানেন?
মুক্তক
নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (NSOU) তাদের পড়ুয়াদের জন্য় চালু করেছে 'মুক্তক (Muktak)' নামে ইন্টারনেট রেডিও। তাদের ওয়েব টিভি রয়েছে। তার পাশাপাশি চালু হয়ে গেল ইন্টারন্ট রেডিও। ফলে পড়ুয়াদের লেখাপড়ায় আরও সুবিধা হবে বলে মনে করছে তারা।
কয়েক লক্ষ পড়ুয়া
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক লক্ষ পড়ুয়া আছে। বিভিন্ন বিষয়ে লেখাপড়া হয়। রেডিওকে কাজে লাগিয়ে অনায়াসে নিজেদের বিষয়ে জানতে পারেবন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে রেডিওর পরিষেবা পাওয়া যাবে।
ইন্টারনেট রেডিও কেন?
তাদের ওয়েব টিভি রয়েছে। তারপরও ইন্টারনেট রেডিও কেন? এর কারণ করোনা সংক্রমণের জন্য বন্ধ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যা লেখাপড়া হচ্ছে, তার বেশির ভাগই অনলাইনে।
তবে সেখানে বেশ কিছু সমস্যা তৈরি হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে তা গুরুতর। তার মধ্যে প্রধান হল স্মার্টফোন, ট্যাব বা কম্পিউটার থাকা। এবং সেইসঙ্গে ইন্টারনেট। সেই ক্লাস করতে উন্নত মানের ইন্টারনেটের সংযোগ থাকার দরকার। তবে অনেক পড়ুয়া সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। ফলে তাদের লেখাপড়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে।
সেই বিষয়টা মাথা রেখে কাজ করেছে নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (NSOU)। লো ব্যান্ডউইথ ইন্টারনেটেও সেই ক্লাস করা যাবে। ইন্টারনেটা যাতে লেখাপড়ায় বাধা না হয়।
কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন
বিশ্ববিদ্যালয় (NSOU)-এর অধ্যাপক অনির্বাণ ঘোষ জানান, 'মুক্তক'এর সাহায্য় সহজে পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছন যাচ্ছে। শক্তিশালী ইন্টারনেট না হলেও চলবে। যে কোনও জায়গা থেকে তাঁরা লেকচার শুনতে পারবেন।
ওই বিশ্ববিদ্যালয় (NSOU)-এর সাংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অরিজিৎ ঘোষ জানান, এটা নতুন প্রচেষ্টা। পড়ুয়াদের লেখাপড়া শেখানোর কাজে গণমাধ্যমের ভূমিকা রয়েছে। ইন্টারনেট রেডিও সেই কাজ পূরণ করবে।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
এখন নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট ক্লাস শোনা যাবে। কবে, কী ক্লাস তা আগাম জানিয়ে দেওয়া থাকে। ফলে কারও কোনও অসুবিধা হবে না। এমন নয় যে দুম করে কোনও ক্লাসের লেকচার শুরু হয়ে যাবে। কখন কোন ক্লাস, তা জানা থাকেব। ফলে পড়ুয়ারা সে-সময়ে বসে পড়তে পারবেন রেডিওর সামনে।
ওই লেকচার যাতে ডাউনলোড করে রেখে দেওয়া যায়, সে ব্য়াপারে ভাবনাচিন্তা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। যাতে পড়ুয়ারা নিজেদের সুবিধা মতো সময়ে তা শুনতে পারেন। কোনও কারণ যদি ক্লাস মিস হয়ে যায়, তা যেন ফের শোনা যায়।