সম্প্রতি থাইল্যান্ডের গবেষকরা প্রায় পাঁচ হাজার বছরের পুরানো একটি তিমির কঙ্কাল আবিষ্কার করেছেন। অবাক করার বিষয় কঙ্কল প্রায় সম্পূর্ণ অবিকৃত অবস্থাতেই রয়েছে। রাজধানী ব্যাঙ্ককের পশ্চিমে সামুত সখোন এলাকায় এটিকে পাওয়া গেছে। খননকাজ শেষে গবেষকরা কঙ্কালটির ইতিমধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ উদ্ধার করে ফেলেছেন । খননকালে, এখনও পর্যন্ত ১৯ টি ব্যাকবোন, পাঁচটি পাঁজর,কাঁধের হাড় এবং ডানা পাওয়া গিয়েছে। কঙ্কালটি ১২ মিটার (৩৯ ফুট) দীর্ঘ এবং কেবল তিমির মাথাটিই প্রায় ৩ মিটারের। (ছবি সৌজন্যে - ফেসবুক / TOPVARAWUT)
কঙ্কালটি কত পুরনো তা জানতে, কার্বন ১৪ কৌশলটি ব্যবহার করে তিমি মাছের হাড়ের বয়স যাচাই করা হবে। তবে বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন যে এটি ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ বছর পুরানো। ব্রাইডের তিমি এখনও থাইল্যান্ডের জলে পাওয়া যায়, যেখানে এগুলি একটি সুরক্ষিত প্রজাতি হিসাবে বিবেচিত হয়। ব্যাঙ্ককের প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ মন্ত্রী ভারভুট সিলপা-আরচা বলেছেন যে, মাটির ১২ কিলোমিটার (৭.৫ মাইল) গভীরে পাওয়া এই দেহাবশেষ বিজ্ঞানীদের তিমি প্রজাতির বিবর্তন বুঝতে সহায়তা করবে। তিনি আরও বলেছেন যে কয়েক হাজার বছরে সমুদ্রের স্তর কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে তাও জানা যাবে এর থেকে। (ছবি সৌজন্যে - ফেসবুক / TOPVARAWUT)
সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলার মার্কস চুয়া বলেছেন, আবিষ্কার থেকে বোঝা যায় যে থাইল্যান্ডের উপসাগরের সমুদ্রপৃষ্ঠে ৬,০০০ বছর থেকে ৩,০০০ বছর আগে তুলনামূলকভাবে বড় পরিবর্তন হয়েছিল, যেখানে বর্তমান উপকূলের আরও অভ্যন্তরে দশ কিলোমিটার পর্যন্ত উপকূল বিস্তৃত ছিল। (ছবি সৌজন্যে - ফেসবুক / TOPVARAWUT)
পূর্বে, কেবলমাত্র ছোট ছোট সামুদ্রিক জীবাশ্ম বা কাঁকড়া মাটির গভীর খনন কার্যে পাওয়া গিয়েছিল। পাশাপাশি এটিও স্পষ্ট নয় যে এই জীবাশ্মগুলি মানুষের দ্বারাই স্থানান্তরিত হয়েছিল কিনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জাতীয় প্রমাণ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। বর্তমান জলবায়ু সংকটে সমুদ্র কী ভূমিকা পালন করছে তা এটির দ্বারা অনুমান করা যা। চুয়া বলেছিলেন, "এটি বিষটির ওপর অবশ্যই মনোযোগ দিতে হবে এবং দেখায় যে কীভাবে এবং কোথায় সমুদ্র থেকে সমতল আলাদা হয়ে যায়।" (ছবি সৌজন্যে - ফেসবুক / TOPVARAWUT)
এই আবিষ্কারটি ব্রাইডের তিমির পাশাপাশি অন্যান্য সামুদ্রিক জীবন বুঝতে গবেষকদের সহায়তা করবে। কঙ্কালের পাশাপাশি গবেষকরা হাঙ্গরের দাঁতও উদ্ধার করেছেন। চুয়া বলেন, "বিজ্ঞানীরা সেই সময়ের বেঁচে থাকা প্রাণীদের জানতে তিমিপ কঙ্কালটি পরীক্ষা করবেন এবং বর্তমান সময়ের জীবকূলের সাথে তুলনা করবেন।"(ছবি সৌজন্যে - ফেসবুক / TOPVARAWUT)