দ্বিতীয় পর্বের লকডাউন ঘোষণা করেছে ব্রিটেন। করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে ব্রিটেনে। তা রুখে দিতেই সম্পূর্ণ লকডাউনের পথে হাঁটল ব্রিটেন।
মিড-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লকডাউনে চলবে ব্রিটেনে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সোমবার একথা জানান। প্রায় ৫ কোটি ব্রিটেনবাসীকে লকডাউন মেনে চলতে হবে। ফের বন্ধ করে দেওয়া হল স্কুল-কলেজ। বাজার দোকানও যখন-তখন খোলা থাকবে না। খুলতে হবে নিয়ম মেনেই।
দেশের উদ্বেগজনক করোনা পরিস্থিতিক কারণে এবার নিজের ভারত সফর বাতিল করলেন বরিস জনসন। জানুয়ারি মাসের শেষে ভারতে আসার কথা ছিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর।
এবার ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হওয়ার কথা ছিল বরিস জনসনের। মঙ্গলবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে বরিস জনসনের ভারত সফর বাতিল করা হল।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ইউকে বেরিয়ে যাওয়ার পর এই প্রথম ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তিনি। গত মাসেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন জনসন।
বরিস জনসনের অফিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা হয় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর। প্রজাতন্ত্র দিবসে উপস্থিত থাকতে না পারায় তিনি দুঃখ প্রকাশও করেন। জনসন জানিয়েছে, ব্রিটেনের কোভিড পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লকডাউন ঘোষণা করতে হয়েছে। এই সময় প্রধানমন্ত্রীর দেশে থাকাটা জরুরি। তাই বিদেশ সফর বাতিল করতে হচ্ছে।
ব্রিটেন সরকারের তরফে জানান হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আশা করছেন ২০২১ সালের প্রথমার্ধের কোনও এক সময় তিনি ভারত সফরে আসতে পারবেন।” জানা গিয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতাই তাঁদের ‘কথা রাখার’ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ভারত-ব্রিটেনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে বদ্ধপরিকর দুই দেশই।