মঙ্গল গ্রহ থেকে মিলল বড়সড় সুখবর। মঙ্গলের একটি বড় উপত্যকায় মিলেছে প্রচুর পরিমান জল। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ও রুশ স্পেস এজেন্সির 'মঙ্গলযান' এই জলের হদিশ পেয়েছে। আসলে ওই মঙ্গলযানটি হাইড্রোজেনের খোঁজ চালাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎই সন্ধান পাওয়া যায় জলের। (ছবি-ESA)
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ও রুশ স্পেস এজেন্সির মঙ্গলযান ExoMars Trace Gas Orbiter মঙ্গলরের গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন Valles Marineris-এ বিপুল পরিমান জলের সন্ধান পেয়েছে। (ছবি-ESA)
ExoMars মঙ্গলগ্রহকে প্রদক্ষিণ করছে। একে উপস্থিত FREND (Fine Resolution Epithermal Neutron Detector) পেলোড মঙ্গলে হাইড্রোজেনের খোঁজ চালাচ্ছিল। সেই সময়েই গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে মাটির নিচে জলের সন্ধান পাওয়া যায়। (ছবি-গেটি)
একথা অনেকেই জানেন যে মঙ্গল গ্রহে জল ছিল। এখনও সেখানে বরফ দেখা যায়। বিশেষত মঙ্গলে যখন শীতের মরশুম চলে তখন বেশি পরিমানে বরফের দেখা মেলে। (ছবি-ESA)
এর আগে ESA-র মার্স এক্সপ্রেসও মঙ্গল গ্রহতে নিয়র সারফেস ওয়াটারের প্রমাণ পেয়েছিল। তা ধুলিকণা ও খনিজের মধ্যে উপস্থিত ছিল এবং তার পরিমানও ছিল কম। তবে এবার যে পরিমান জলের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে তা দেখে অবাক বৈজ্ঞানিকেরা। (ছবি-গেটি)
মস্কোর স্পেস রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ দ্য রাশিয়ান একাডেমি অফ সায়ন্সেসের বৈজ্ঞানিক ইগর মিত্রোফানোভ বলেন, ExoMars মঙ্গলের সারফেসের এক মিটার নিচ পর্যন্ত দেখতে পায়। তাই এর দ্বারা এটাও জানা সম্ভব যে কোথায় জল কম আছে, আর কোথায় বেশি। (ছবি-গেটি)
Valles Marineris-এর একটি বিশেষ জায়গা রয়েছে যেখানে হাইড্রোজেন জলের কণার আকারে রয়েছে। সেই এলাকাটি নেদারল্যান্ড দেশের মতো বড়। অর্থাৎ ৪১,৫৪৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জলে পরিপূর্ণ। (ছবি-গেটি)
ইগর এবং তার সহকর্মীরা মে ২০১৮ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত FREND-এর ডেটা এবং ফটোগ্রাফগুলি যত্ন সহকারে পরীক্ষা করেছেন। এই পেলোড আলোর পরিবর্তে নিউট্রন অধ্যয়ন করে গ্যাসের সন্ধান করে। যা আলোর চেয়েও সঠিক। (ছবি-গেটি)
স্পেস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের আরও এক বিজ্ঞানী তথা ইগরের সহকর্মী অ্যালেক্সি মালাখভ জানান যে, FREND-এর চমৎকার প্রযুক্তির কারণে তাঁরা অনেক উচ্চ রেজোলিউশনের ছবি পেয়েছেন। যার কারণে ভ্যালেস মেরিনিস গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে জলের উপস্থিতি খুঁজে পাওয়াও তাঁদের পক্ষে সহজ হয়েছে। (ছবি-গেটি)
অ্যালেক্সি মালাখভ আরও বলেন, এই জল বরফের আকারে, বা খনিজের সঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায় বা নিজস্ব রূপে থাকতে পারে। তবে এটা নিশ্চিত যে মঙ্গলে বিপুল পরিমান জল পাওয়া গিয়েছে। (ছবি-গেটি)
ভবিষ্যতে মঙ্গলে মানব বসতি তৈরি হলে জলের প্রয়োজন হবে। তাই বিজ্ঞানীরা এমন জায়গার খোঁজ করছেন, যেখানটা গভীর। যেমন উপত্যকা বা গুহা। যেখানে আলো কম এবং অন্ধকারও সঠিক পরিমাণে পাওয়া যায়। খুব গরম এলাকা হলে সেখানে বসবাস করা কঠিন হবে এবং জলের সংকটেও পড়তে হবে। (ছবি-গেটি)