প্রথমবার ১৩০৬ পা বিশিষ্ট জীবের সন্ধান পাওয়া গেল। জীবটি মাটির নিচে থাকে। এটি বিশ্বের প্রথম মিলিপিডস (Millipedes) যে তার নামের মানে স্বার্থক করেছে। এর আগে ৭৫০ পা যুক্ত জীবের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তবে নতুন এই জীবের সন্ধান পাওয়ার পর আগেরটি দ্বিতীয় স্থানে চলে গিয়েছে।
ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটির কীটতত্ত্ববিদ পল মারেক জানাচ্ছেন, এর আগে ১০০ পা বিশিষ্ট মিলিপিডস বেশি পাওয়া যেত। সেগুলিকে বলা হত সেন্টিপিড (Centiped)। তারপর ৭৫০ পা বিশিষ্ট Illacme Plenipes-এর সন্ধান পাওয়া যায়। সেটিও মাটির নিচেই থাকে।
মিলিপিডসের নতুন যে প্রজাতি পাওয়া গিয়েছে সেটির নাম Eumilipes Persephone। গ্রিক দেবতা জিউসের মেয়ে পার্সফোনের নামানুসারে এই নামকরণ। পার্সফোনকে পাতালের দেবতা Hades অপহরণ করেছিলেন।
Eumilipes Persephone-এর রং হালকা হলুদ। এদের চোখ নেই। এরা লম্বা সুতোর মতো। এদের শরীর যতটা চওড়া তারচেয়ে ১০০ গুণ বেশি লম্বা। এরা মূলত ছত্রাক খায়।
পল জানাচ্ছেন, এর পা-এর গণনা সহজ ছিল না। কারণ এটি গুটিয়ে যায়। পায়ের মাধ্যমে এর বয়সেরও আন্দাজ করা যায়। এই জীব অনেকদিন বাঁচে বলেই ধারনা পলের।
পল ও তাঁর সহযোগীরা ২টি পুরুষ ও ২টি স্ত্রী Eumilipes Persephone-পরীক্ষা করেন। প্রতিটির দৈর্ঘ্য ও বয়স আলাদা। সবচেয়ে ছোটটির দেহে ১৯৮টি রিং ও ৭৭৮টি পা ছিল এবং সবচেয়ে বড়টির দেহে ছিল ৩৩০টি রিং ও ১৩০৬টি পা।
সাধারণত মিলিপিডস ২ বছর বাঁচে। তবে এই জীবের শরীরের রিং দেখে মনে করা হচ্ছে যে এটি ৫-১০ বছর বাঁচে। এই জীব মাটির প্রায় ২০০ ফুট নিচে থাকে।
অস্ট্রেলিয়ার গোল্ডফিল্ডসে এই জীবটিকে প্রথম দেখা যায়। সেখানে খনিজ পদার্থের জন্য খনন করা হয়। তারপর আর সেখানেই পরীক্ষা চালান কীটতত্ত্ববিদেরা।