আমেরিকার ২৬ বছর বয়সি ব্রিটনে ডেকভস (Britney jacobs)। তিনি যখন সন্তানের জন্ম দিলেন তখন টের পান তাঁর শরীরে দুটি ভ্যাজাইনা রয়েছে। তবে সন্তানের জন্ম দেওয়ার আগে তা বুঝতেই পারেননি তিনি।
বুঝতে পারেন তখন, যখন তিনি গর্ভবতী ছিলেনি। অথচ গত ২৫ বছর ধরে তিনি জানতেই পারেননি যে, তাঁর শরীরে দুটি যৌননালি রয়েছে। ব্রিটনে চাইতেন, তাঁর নর্মাল ডেলিভারি হোক। কিন্তু, নিজের দুটি যৌননালি থাকার কথা জানার পর তিনি বেশ ঘাবড়ে যান।
অনেক মহিলারই দুটি করে যৌননালি থাকে। একে বলা হয়, uterine didelphys। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমেরিকায় ১ শতাংশেরও কম মহিলার মধ্যে uterine didelphys দেখা যায়। একে বিরলই বলা চলে।
ব্রিটনে ডেকভস জানিয়েছেন, 'দুটি ভ্যাজাইনা রয়েছে সেটা আমি জানতেই পারিনি ২৬ বছর ধরে। তবে স্বামীর সঙ্গে যৌন মিলনের সময় আমার খুব ব্যথা হত। সেই কারণে আমি চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি আমাকে বসেছিলেন যৌন মিলনের আগে দুঃশ্চিন্তা মুক্ত হতে। তাহলে আমার কোনও অসুবিধে হবে না। তবে আমি জানতাম কোথাও একটা সমস্যা আছে।'
চিকিৎকরা জানিয়েছেন, শরীরে দুটি ভ্যাজাইনার অস্তিত্ব মহিলারা সাধারণত বুঝতে পারেন না। তবে যখন যৌনমিলন করেন বা অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয় তখন তাঁরা টের পান।
চিকিৎসকের পরামর্শে সন্তুষ্ট হতে পারেননি ব্রিটনে জেকভস। তখন তিনি নিজেই উদ্যোগী হয়ে বিভিন্ন গবেষণাপত্র পড়তে শুরু করেন। আর তারপর ফের চিকিৎসকের কাছে যান ও পরীক্ষা করান। সন্তানের জন্ম দেওয়ার সময় বুঝতে পারেন তাঁর দুটো ভ্যাজাইনা।
ব্রিটনে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, তিনি একা নন। অনেক মহিলারই এই সমস্যা রয়েছে। আর তাঁদের পাশে দাঁড়াতে এখন তিনি ভিডিওবার্তায় মহিলাদের এই নিয়ে সচেতন করেন।