ডেনমার্ক এবং জার্মানির মধ্যে জলের নীচ দিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা সুড়ঙ্গ তৈরি হচ্ছে। এই সুড়ঙ্গ তৈরি হলে দুই দেশ সমুদ্রের নীচ দিয়ে কানেক্ট হয়ে যাবে। এটি আন্ডারওয়াটার টানেল। ২০২৯ এর মধ্যে এটি তৈরি করে ফেলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সুরঙ্গতে একাধিক আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে। সুরঙ্গে ডাবল লেন রোড এবং রেল লাইনও ডেভলপ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ পাকা চুল সাদা করে, সারায় বহু রোগ, পিঁয়াজের খোসা ফেলবেন না
প্রায় এক দশক থেকে প্ল্যানিং চলছে
এই টানেলের নাম ফেহমার্ন বেল্ট টানেল (Fehmarn belt Tunnel).এর নির্মাণ ২০২০ তে শুরু করা হয়েছে। সিএনএন-এর রিপোর্ট অনুযায়ী এই সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ১৮ কিলোমিটার। ইউরোপের সবচেয়ে বড় ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রজেক্ট বলে মনে করা হচ্ছে। এই সুড়ঙ্গ তৈরি হলে ৫৭ হাজার কোটি টাকা বেশি খরচ হবে।
৭ মিনিটে পৌঁছবে অন্য দেশে
বালটিক সাগরের ৪০ মিটার নিচে দিয়ে তৈরি হওয়ায় সুরঙ্গ জার্মানির ফেহমার্ন এবং ডেনমার্কের লোল্যান্ড আইল্যান্ডে সোজা গিয়ে জুড়ে যাবে। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে নৌকা বা জাহাজে যোগাযোগ রয়েছে। নৌকা চেপে কয়েক কোটি মানুষ যাতায়াত করেন। নৌকাতে এক দেশ থেকে অন্য দেশে সফর করতে ৪৫ মিনিট সময় লাগে। সুড়ঙ্গ তৈরি হলে ট্রেনে এটি ৭ মিনিট এবং গাড়িতে ১০ মিনিট সময় লাগবে।
এই সুরঙ্গের আধিকারিক নাম Fehmarn belt Tunnel. এটি পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা রেল এবং সড়ক পথ সমৃদ্ধ সুড়ঙ্গ হতে চলেছে। ডবল রোড লেন হবে, সার্ভিস লেন আলাদা আলাদা করে হবে। সেখানে ইলেকট্রিক রেল ট্র্যাক থাকবে।
এই সুড়ঙ্গের সঙ্গে জড়িত টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর জেমস ওলে জানিয়েছেন যে কোপেনহেগেন থেকে এর দূরত্ব ট্রেনে আজকের সময় প্রায় চার ঘন্টা সময় লাগে। কিন্তু এই সুরঙ্গ তৈরি হলে তা দু'ঘণ্টাতে পৌঁছে যাবে। এই প্রজেক্ট ২০০৮-এ প্ল্যান করা হয়েছিল। তখন জার্মানি-ডেনমার্ক দুই দেশের মধ্যেই সুড়ঙ্গ নিয়ে সমঝোতাতে হস্তাক্ষর করা হয়। আড়াই হাজারের বেশি লোক বর্তমানে এই প্রজেক্ট এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।
এই সুরঙ্গ তৈরি হলে কি লাভ হবে?
Fehmarn belt Tunnel সামরিক দৃষ্টিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এটি স্ক্যান্ডিনেভিয়া দেশ এবং মধ্য ইউরোপের মধ্যে নিজেদের সঙ্গে সড়ক ও রেলপথে যুক্ত হয়ে যাবে। যাতায়াত, পণ্য আদান-প্রদান সমস্ত কিছুতেই নৌকা বা জাহাজের উপর নির্ভর করতে হবে না। আবহাওয়ার উপর নির্ভর করেও দু'দেশের মধ্যে যাতায়াতে সমস্যা তৈরি হবে না।