পিঁয়াজ ছাড়া আমিষ রান্না ভাবাই যায় না। তবে পিঁয়াজ আমরা খোসা ছাড়িয়েই খাই। তাই খাওয়া উচিত। তারপর আমরা কী করি? এর খোসা ফেলে দিই। কিন্তু আপনি কী জানেন! পিঁয়াজের যে খোসা আপনি ফেলে দিচ্ছেন, তা কতটা উপকারী?
চুল পাকতে দেয় না
পিঁয়াজের খোসা চুল পাকতে পাধা দেয়। এমনকী চুল পেকে গেলে সেটিও কালো করে দিতে পারে। পিঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে লোহাড় কড়াই বা তাওয়াতে খোসাগুলো হালকা আঁচে গরম করতে হবে। খোসাগুলো কালো হয়ে গেলে সেগুলো নামিয়ে পাউডারের মতো গুঁড়ো করে নিতে হবে।
এরপর অ্যালোভেরা জেল বা মাথায় দেওয়ার তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করতে হবে। ঘরে তৈরি এই হেয়ার ডাই আপনার সাদা চুল কালো করে দেবে। পরে অবশ্য একাধিকবার ধুয়ে ফেললে তা দূর হয়ে যাবে।
চুল পড়া আটকায়
অনেকেরই চুল ঝরার প্রবণতা রয়েছে। এক্ষেত্রে একটি পাত্রে জল নিয়ে তাতে কয়েকটি পিঁয়াজের খোসা দিয়ে গরম করতে হবে। জলের রং হালকা বাদামি হয়ে আসলে গ্যাস নিভিয়ে সেই জল একটি বোতলে রাখুন। এই মিশ্রণ মাথায় ব্যবহার করলে চুল পড়া কমবে ও নতুন চুল জন্মাবে।
ব্যথা দূর করতে
মাংসপেশি বা শরীরের ব্যথা কমায় পিঁয়াজের খোসা। পিঁয়াজের খোসা সিদ্ধ করে সেই জল খেলে উপকার পাবেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটি পাত্রে জল নিয়ে কয়েকটি পিঁয়াজের খোসা দিয়ে জল গরম করে সেই জল খেলে শরীরের ব্যথা কমবে।
পিঁয়াজের খোসায় আসবে ঘুম
পিঁয়াজের খোসা ঘুমে সহায়ক। ঘুমের আগে চায়ে পিঁয়াজের খোসাও সিদ্ধ করে খেলে দারুণ ঘুম আসে। পিঁয়াজের খোসায় থাকা এল- ট্রিপটোফ্যান নামের অ্যামাইনো এসিড মস্তিষ্ক ঠান্ডা করে ও ঘুম নিয়ে আসে।
পেঁয়াজের খোসা যখন সার:
উপরের সবগুলি কাজের পর বেঁচে যাওয়া পিঁয়াজের খোসা প্রতিদিন জমিয়ে রাখুন। তা পচনের সঙ্গে প্রাকৃতিক সারে পরিণত হবে। এই সার বাগানে বা টবের গাছে ব্যবহার করলে, গাছ তরতরিয়ে বাড়বে।