Nobel Prize 2024-Chemistry: আবিষ্কারে প্রাণ বাঁচতে পারে কোটি-কোটি মানুষের, রসায়নে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী

Nobel Prize 2024-Chemistry: ২০২৪-এ কেমিস্ট্রিতে নোবেল পাচ্ছেন ৩ বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানী ডেভিড বেকারকে 'কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইন' এর জন্য নোবেল সম্মান দেওয়া হচ্ছে। অন্য়দিকে ডেমিস হাসাবিস ও জন এম. জাম্পার যৌথভাবে 'প্রোটিন স্ট্রাকচার প্রেডিকশন' নিয়ে গবেষণার জন্য এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে। 

Advertisement
আবিষ্কারে প্রাণ বাঁচতে পারে কোটি-কোটি মানুষের, রসায়নে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী রসায়নে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের

Nobel Prize 2024-Chemistry: ২০২৪-এ কেমিস্ট্রিতে নোবেল পাচ্ছেন ৩ বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানী ডেভিড বেকারকে 'কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইন' এর জন্য নোবেল সম্মান দেওয়া হচ্ছে। অন্য়দিকে ডেমিস হাসাবিস ও জন এম. জাম্পার যৌথভাবে 'প্রোটিন স্ট্রাকচার প্রেডিকশন' নিয়ে গবেষণার জন্য এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে। 

কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইন: সহজে বুঝুন

প্রোটিন হল জীবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রোটিন আমাদের শরীরের সমস্ত কার্যক্রম চালাতে সাহায্য করে, যেমন রোগ প্রতিরোধ, শক্তি সরবরাহ করা, এমনকি কোষগুলোর মধ্যে তথ্য পরিবহণ করাও প্রোটিনের কাজ। প্রতিটি প্রোটিন একটি নির্দিষ্ট গঠনে থাকে।

আর এই গঠনই তাদের কার্যক্ষমতা নির্ধারণ করে। প্রোটিন অ্যামিনো অ্যাসিডের চেইন দিয়ে তৈরি হয়। এই অ্যামিনো অ্যাসিডের চেনই একত্রে মিলিত হয়ে একটি থ্রি-ডি আকার তৈরি করে। 

কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইন হল বিজ্ঞান যা কম্পিউটারকে কাজে লাগিয়ে নতুন প্রোটিন তৈরি করার প্রক্রিয়া। বিজ্ঞানীরা কম্পিউটার প্রোগ্রাম ব্যবহার করে প্রোটিনের গঠন এবং কার্যকারিতা বুঝতে পারবেন। এই মডেলিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যামিনো অ্যাসিডের পরিবর্তন করলে প্রোটিনের আকৃতি ও কাজে কী প্রভাব পড়বে, সেটা আগে থেকেই আরও স্পষ্ট করে বোঝা যাবে।

এই ধরণের প্রোটিন, কোনও নির্দিষ্ট রোগের চিকিৎসা, নতুন ওষুধ তৈরি করতে কাজে লাগতে পারে। 

ধরুন এমন একটি ওষুধ দরকার, যা শরীরে একটি নির্দিষ্ট ধরণের প্রোটিনের কোষেই কাজ করবে। সেই সব ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি কাজে লাগবে।

ডেভিড বেকার এই পদ্ধতির ডেভেলপমেন্টে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। তাঁর কম্পিউটেশনাল মডেল প্রোটিনের গঠন ও কার্যকারিতা সঠিকভাবে আগে থেকে অনুমান করতে পারে। এর ফলে প্রোটিন তৈরি ও সংশ্লেষণে যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে।

প্রোটিন গঠন পূর্বাভাস: এর গুরুত্বটা জানুন

ডেমিস হাসাবিস এবং জন এম. জাম্পার যৌথভাবে প্রোটিনের গঠনের পূর্বাভাস দেওয়ার পদ্ধতিকে আরও উন্নত করেছেন। তাঁরা এমন অ্যালগরিদম তৈরি করেছেন, যার মাধ্যমে অত্যন্ত নির্ভুলভাবে প্রোটিনের ত্রিমাত্রিক গঠন আগে থেকে পূর্বাভাস দেওয়া যাবে। এর ফলে গবেষকরা বুঝতে পারবেন কীভাবে কোনও নির্দিষ্ট ধরণের প্রোটিন কাজ করে এবং কিভাবে এটি বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।

এই গবেষণা নতুন ওষুধ আবিষ্কার এবং বায়োটেকনোলজিতে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত খুলে দিয়েছে।

Advertisement

এই তিন বিজ্ঞানীর কাজ শুধুমাত্র রসায়ন নয়, চিকিৎসাবিদ্যা ও জৈবপ্রযুক্তিতেও নতুন যুগের সূচনা করেছে। 

POST A COMMENT
Advertisement