Barbados: ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের অন্যতম দেশ বার্বাডোজ (Barbados)-এর জন্য দারুণ খবর। এই দিনটি সে দেশের নাগরিকেরা কখনও ভুলতে পারেবন না, এ কথা হলপ করে বলা যায়। সেখানে খতম হল রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ (Queen Elizabeth II)-এর শাসন। তিনি আর সে দেশের সর্বেসর্বা নন।
গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে স্বীকৃতি
বার্বাডোজে ওপনিবেশিক শাসন শেষ হল। এখন সেই দেশ পুরোপুরি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেল। এখন সে দেশ (Barbados)-এর গভর্নর জেনারেল হবেন স্যান্ডা মেসন (Governor General Sandra Mason)। তাঁকে নিয়োগ করেছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ (Queen Elizabeth II)। স্যান্ড্রা মেসন সেখানকার অ্যাটর্নি এবং বিচারপতির দায়িত্বও সামলাবেন।
আরও পড়ুন: দু'হাতে কোনও ক্রমে ঢাকার চেষ্টা! পুনমের বোল্ড TOPLESS ছবি ভাইরাল
তিনি ভেনেজুয়েলা, কলম্বিয়া চিলি এবং ব্রাজিলে রাষ্ট্রদূতের কাজ করেছেন। তিনি মঙ্গলবার রাতে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেবেন। আর এভাবেই রচিত হল ইতিহাস। ব্রিটেন থেকে আলাদা হয়ে আরও এক গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল।
এক মাসের প্রস্তুতি
এ সবের জন্য মাসখানেকের প্রস্তুতি চলেছে। বার্বাডোজ ছিল ব্রিটিশ কলোনি বা উপনিবেশ। এটি পরিচিত ছিল লিটল ইংল্যান্ড (Little England) নামে। বার্বাডোজের নাগরিকেরা নিজেদের প্রথম রাষ্ট্রপতি বেছে নিয়েছেন। তিনি দুই তৃতীয়াংশ ভোট পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: Talking Duck : কথা বলছে হাঁস! সন্ধান পেলেন ডাচ বিজ্ঞানী
টিভি-রেডিওয়
সোমবার রাতে মানুষ টিভির সঙ্গে চিপকে ছিলেন। আর কান আটকে ছিল রেডিওতে। সবাই একটা দিকেই নজর রেখেছিলেন। অনেকে জড়ো হয়েছিলেন পপুলার স্কোয়্যারে। সেখানে তাঁরা ঠাঁয় অপেক্ষা করছিলেন। সেখানে গত বছর ব্রিটিশ লর্ডের মূর্তি হঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ঐতিহাসিক ওই মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পেরে সে দেশের সবাই যেন তৃপ্ত। তেমনই একজন ডেনিস এডওয়ার্ড। তিনি পেশায় প্রপার্টি ম্যানেজার। তিনি জানান, তাঁর জন্ম গুয়ানায়। তবে তিনি থাকেন বার্বাডোজ (Barbados)-এ। ঐতিহাসিক এই মহূর্তের সাক্ষী থাকতে তিনি ছেলেকে নিয়ে চলে এসেছেন।
আরও পড়ুন: টিম ইন্ডিয়ার মেনুতে 'হালাল মাংস' নিয়ে বিতর্ক, কী জিনিস সেটা?
থাকবেন প্রিন্স চার্লস
বার্বাডোজ (Barbados) গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রিন্স চার্লস। তিনি রবিবার সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। তাঁকে ২১ তোপধ্বনি দিয়ে স্বাগত জানানো হয়েছে। সে দেশে ৩ লক্ষের বেশি মানুষ থাকেন। আর্থিক দিক থেকে বার্বাডোজকে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের সবথেকে সমৃদ্ধ দেশ বলে মানা হয়।
এখানকার অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে পর্যটনের ওপর ভিত্তি করে। ১৯৭০ সালের পর এই প্রথম কোনও ক্যারিবিয়ান রাষ্ট্র মুক্তি পাচ্ছে। এর আগে গুয়ানা, ডোমিনিকা, ত্রিনিদাদ এবং টোবাগো গণতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
আগে যা হয়েছিল
বার্বাডোজ ১৯৬৬ সালে ব্রিটেনের কবল থেকে মুক্ত হয়। ২০০৫ সালে সে দেশ ত্রিনিদাদে অবস্থিত ক্যারিবিয়ান কোর্ট অফ জাস্টিসে আবেদন করেছিল, লন্ডনে থাকা প্রিবি কাউন্সিলকে হঠিয়ে দেওয়া হোক। ২০০৮ সালে গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার প্রস্তাব রাখে।
তবে অনিশ্চয়তার জন্য তা দেরি হয়। এরপর গত বছর মানে ২০২০ সালে ন্য়াশনাল হ্য়ারি স্কোয়্যার থেকে ব্রিটিশ ভাইস-অ্যাডমিরাল হোটোরিও নেলসন (British Vice-Admiral Horation Nelson)-এর মূর্তি সরিয়ে দেওয়া হয়।