Balochistan Independence: পাকিস্তান কি ভাগ হবে? কোন শর্তে বালুচিস্তান একটি পৃথক দেশ হতে পারে? জানুন

কিছু দিন আগেই স্বাধীনতার ঘোষণা করেছে বেলুচিস্তান। পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন বেলুচ নেতা মীর ইয়ার বেলোচ। তিনিই 'স্বাধীন বেলুচিস্তানে'র ঘোষণা করেন। এর পাশাপাশি তিনি রাষ্ট্র সঙ্ঘের কাছে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোরও আবেদন করেন।

Advertisement
পাকিস্তান কি ভাগ হবে? কোন শর্তে বালুচিস্তান একটি পৃথক দেশ হতে পারে? জানুনবালুচিস্তানের কি আলাদা দেশ হওয়া সম্ভব?

কিছু দিন আগেই স্বাধীনতার ঘোষণা করেছে বেলুচিস্তান। পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন বেলুচ নেতা মীর ইয়ার বেলোচ। তিনিই 'স্বাধীন বেলুচিস্তানে'র ঘোষণা করেন। এর পাশাপাশি তিনি রাষ্ট্র সঙ্ঘের কাছে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোরও আবেদন করেন। পাকিস্তানের শাসন থেকে বেলুচিস্তানকে মুক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। 

মীর বেলোচের দাবি, বেলুচিস্তানে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে পাকিস্তান সরকার। সেই কারণেই তিনি বেলুচিস্তানকে স্বাধীন দেশ হিসেবে ঘোষণার কথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ভারত সহ আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন দেশের সমর্থনেরও আবেদন জানিয়েছেন।

পাকিস্তান কি দুই টুকরো হতে চলেছে?

এমতাবস্থায় অনেকের মনেই একটি প্রশ্ন ঘুরছে। ভবিষ্যতে কি পাকিস্তান সত্যিই দুই ভাগে ভাগ হয়ে যেতে পারে? আন্তর্জাতিক স্তরে বেলুচিস্তান কি আদৌ স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি পেতে পারে? কীভাবে কোনও দেশের একাংশ আলাদা হতে পারে, বা এর প্রক্রিয়া কী, সেই বিষয়ে আসুন জেনে নেওয়া যাক। 

দিল্লিতে দূতাবাস খোলার অনুরোধ মীর ইয়ার বেলোচের

ভারতের কাছে মীর ইয়ার বেলোচের অনুরোধ, দিল্লিতে বেলুচিস্তানের দূতাবাস খোলার অনুমতি দেওয়া হোক। তিনি রাষ্ট্র সঙ্ঘের কাছেও বেলুচিস্তানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সেদেশের আলাদা কারেন্সি(মুদ্রা) এবং পাসপোর্ট চালুর জন্য হাজার-হাজার কোটি টাকার ফান্ডিংয়ের দাবি করেছেন।

আলাদা দেশের তৈরির শর্ত কী?

আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও অঞ্চলকে রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করার জন্য চারটি মূল শর্ত পূরণ করতে হবে। সেগুলি হল —জনগণ, নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, সরকার এবং সার্বভৌমত্ব।

  • 'জনগণ'-এর ব্যাখ্যা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, সাধারণত এর অর্থ একটি স্থায়ী জনসংখ্যা। এই জনসংখ্যা যেন এই দেশের বিষয়ে একমত থাকে।

  • দ্বিতীয় বিষয়টি হল নির্দিষ্ট সীমারেখার মধ্যে থাকা একটি ভূখণ্ড।

  • তৃতীয় হল, সেই ভূখণ্ডের উপর নিয়ন্ত্রণ বা সার্বভৌম ক্ষমতা থাকা।

  • চতুর্থ, স্থায়ী সরকার। সেই সরকার যেন অন্য দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারে।

শুধু ঘোষণা করলেই হবে না

তবে শুধু এই চারটি বিষয় থাকলেই কোনও অঞ্চল স্বাধীন রাষ্ট্র হয়ে যেতে পারে না। প্রয়োজন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল রাষ্ট্রসঙ্ঘের স্বীকৃতি পাওয়া।

রাষ্ট্রসঙ্ঘ কীভাবে স্বীকৃতি দেয়?

প্রথমে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিবকে চিঠি দিয়ে আর্জি জানাতে হয়। তারা যে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংবিধান মেনে চলবে সেই অঙ্গীকারও করতে হয়। তারপর সেই আবেদন নিরাপত্তা পরিষদে পাঠানো হয়।

নিরাপত্তা পরিষদে ১৫ জন সদস্য থাকে। তার মধ্যে অন্তত ৯ সদস্যের সমর্থন থাকতে হবে। তবে ৫ স্থায়ী সদস্য—চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন ও আমেরিকার মধ্যে যেকোনও একজন ভেটো দিলেই আবেদন বাতিল হয়ে যায়।

Advertisement

রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্থান পেতে  দুই-তৃতীয়াংশ ভোট প্রয়োজন

নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদনের পর বিষয়টি রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে যায়। সেখানে ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে তাদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেলে তবেই সেই নতুন অঞ্চলকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

POST A COMMENT
Advertisement