Justin Trudeau: প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা ঘোষণা ট্রুডোর, কানাডার রাজনীতিতে কী হতে চলেছে?

কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের কথা সোমবার ঘোষণা করেছেন জাস্টিন ট্রুডো। পাশাপাশি, লিবারেল পার্টির নেতার পদ থেকেই ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। প্রায় ১ দশক পর কানাডার রাজনীতিতে ট্রুডো যুগের অবসান হল। দলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ এবং জনসমর্থনের দ্রুত পতন ট্রুডোকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবার এক বিবৃতি দিয়ে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেছেন ট্রুডো। 

Advertisement
প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা ঘোষণা ট্রুডোর, কানাডার রাজনীতিতে কী হতে চলেছে? জাস্টিন ট্রুডো।
হাইলাইটস
  • কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের কথা সোমবার ঘোষণা করেছেন জাস্টিন ট্রুডো।
  • পাশাপাশি, লিবারেল পার্টির নেতার পদ থেকেই ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।
  • প্রায় ১ দশক পর কানাডার রাজনীতিতে ট্রুডো যুগের অবসান হল। 

কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের কথা সোমবার ঘোষণা করেছেন জাস্টিন ট্রুডো। পাশাপাশি, লিবারেল পার্টির নেতার পদ থেকেই ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। প্রায় ১ দশক পর কানাডার রাজনীতিতে ট্রুডো যুগের অবসান হল। দলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ এবং জনসমর্থনের দ্রুত পতন ট্রুডোকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবার এক বিবৃতি দিয়ে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেছেন ট্রুডো। 

ট্রুডোর ইস্তফার পর কী হবে?

কানাডায় নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত ট্রুডো ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন, যাতে সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। লিবারেল পার্টি অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের নতুন নেতা নির্বাচন করবে। এই প্রক্রিয়া হবে দলীয় নিয়ম ও টাইমলাইন অনুযায়ী। লিবারেল পার্টির নতুন নেতা প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হবেন, যদি পার্টি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখে। জানা গিয়েছে, সংসদের কার্যক্রম ২৪ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করা হবে। 

ট্রুডোর উত্তুরসূরি কে?

ট্রুডোর পদত্যাগ লিবারেল পার্টির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।  ২০২৫ সালের অক্টোবরে নির্ধারিত পরবর্তী ফেডারেল নির্বাচনের আগে নেতৃত্বের পরিবর্তন করতে হবে। ট্রুডো জানিয়েছেন যে, তিনি তার লিবারেল পার্টির প্রেসিডেন্টকে নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছেন। পরবর্তী নেতা নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।

লিবারেল পার্টির মধ্যে নেতৃত্ব কে দেবেন, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। উপপ্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড, যিনি ডিসেম্বরে অর্থনৈতিক নীতি নিয়ে মতবিরোধের কারণে ট্রুডোর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন, সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে তাঁর নাম উঠে এসেছে। তালিকায় রয়েছেন মন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া-ফিলিপ শ্যাম্পেন এবং প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অনিতা আনন্দ। 

ট্রুডোর উত্তরসূরির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ

আমেরিকার সঙ্গে কানাডার সম্পর্কে শৈত্য বইছে। আর এই সময়ে ট্রুডোর পদত্যাগ চাপ বাড়িয়েছে। আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক লাগু করার কথা বলেছেন। অভিবাসন ও বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা নিয়ে উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প এই পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এসব হুমকি কানাডার অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, যা ট্রুডোর উত্তরসূরির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement