সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর একটা অত্যন্ত প্রাচীন গির্জা পাওয়া গিয়েছে। যা ইসলাম ধর্মের উদয়ের আগে বানানো হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। ডেলিমেল এর রিপোর্ট অনুযায়ী এই মঠ প্রায় ১৪০০ বছর আগে বানানো হয়েছিল। এটা তখনকার, যখন পর্যন্ত মুসলিমের পয়গম্বর মহম্মদের জন্ম হয়নি। গির্জাটি একটি চার্চের মত আকৃতির পরিকাঠামো মিলেছে। এর সঙ্গে সেখানে জন্য আলাদা কক্ষ এবং এই কামরায় অবশিষ্টাংশ পাওয়া গিয়েছে। যেখানে উৎসব-অনুষ্ঠানে সবার হতে রুটি বানানো হতো। এর সঙ্গেই সেখানে অনেক ছোট ছোট কক্ষ মিলেছে। যার ব্যবহার ক্রিশ্চিয়ান ধর্মের পাদ্রিদের একান্ত সময় কাটানোর জন্য বিশ্রাম কক্ষ হিসেবে করা হতো। ঈশ্বরের ধ্যান করার জন্য করা হতো।
আরও পড়ুনঃ এ যেন দুয়ারে কাঞ্চনজঙ্ঘা, উত্তরবঙ্গের সব জায়গায় এখন ট্রেন্ডিং এই গিরিশিখর
এর আগে এমন নিদর্শন ১৯৯০ সালে পাওয়া গিয়েছিল
রিপোর্ট অনুযায়ী এই খোঁজ পাওয়ার আগে পারস্য উপসাগরের আশপাশে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচার ও প্রসার নিয়ে নতুন খোঁজ মিলতে পারে। এটা মোট চোদ্দশো বছর আগে বলে জানানো হচ্ছে, যা প্রমাণ করে, ইসলাম এই এলাকায় প্রসারের আগে খ্রিস্টান ধর্মের লোক মজুত ছিলেন।
এই ক্ষেত্রে দ্বিতীয় গির্জার আগে প্রথম গির্জাটি ১৯৯০ সালে পাওয়া গিয়েছে। ইতিহাসহবিদদের বক্তব্য যে, এই ক্ষেত্রে ইসলামের প্রচার প্রসার হওয়ার পরেই খ্রিস্টান লোকেরা ইসলামের ধর্মান্তরিত হতে শুরু করেন। এর কারণে ধীরে ধীরে লোকেরা এই গির্জাগুলিকে ভুলে গিয়েছে।
মঠে পাওয়া গিয়েছে খ্রিস্টান ধর্মের চিহ্ন
এই মঠটি সিনিয়াহ দ্বীপে পাওয়া গিয়েছে। যা উম্মা-অল-কুবেন আমিরশাহির মঠের মধ্যে পাওয়া নমুনার কার্বন ডেটিং ৫৩৪ এবং ৬৫৬ সালের মধ্যে হবে। যেখানে পয়গম্বর মহাম্মদের জন্ম ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের আশপাশে হয়েছিল এবং মক্কাতে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে তার মৃত্যু হয়।
মঠের পাশে চার কামরার সঙ্গে একটি আলাদা ইমারতের অবশিষ্ট অংশ পাওয়া গিয়েছে। যা নিয়ে পুরাতত্ত্ববিদরা মনে করছেন যে আশপাশে বড় এরিনা বা উঠোনের মত পাওয়া গেছে। যা সম্ভবত মঠের অধ্যক্ষের ঘর হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ ডুয়ার্সে নতুন বেড়ানোর জায়গা লালপুল, রইল থাকা-খরচের হদিশ
মধ্যপ্রাচ্যের বহু দেশে পাওয়া গিয়েছে খ্রিস্টানদের পুরনো গির্জা। পুরাতত্ত্ববিদরা ইরাক, বাহরিন, ইরান, কুয়েত, সৌদি আরব সহ বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের গির্জা খুঁজে পেয়েছেন। ১৯৯০ থেকে পুরাতত্ত্ববিদরা যা অন্যান্য গির্জার মতোই পুরনো এমন আরও গির্জা পেয়েছেন। মনে করা হচ্ছে যে, ভারতে ব্যবসায়িক কাজে যাওয়ার জন্য বণিকদের গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য ছিল এগুলি।