Mount Kanchenjungha: সুন্দরী কাঞ্চনজঙ্ঘা। নামেই জড়িয়ে রোমান্টিকতা। খাড়া উঁচু পাহাড়ের চূড়া সাদা বফের চাদরে ঢাকা। শুধু এই দৃশ্য দেখতেই গোটা বিশ্বের বহু মানুষ দার্জিলিং ছুটে আসেন প্রতি বছর। কিন্তু সেই দৃশ্য যদি কেউ বাড়ি বসেই পরিষ্কার দেখতে পান তাহলে কেমন হয়? ব্যাপারটার মধ্য়েই একটি থ্রিল জড়িয়ে আছে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ সহ বেশ কিছু এলাকায় এখন আকাশ এতটাই পরিষ্কার, যে কাঞ্চনজঙ্ঘা যেন প্রতিটি বাড়ির বাগানে ফুটে উঠেছে। ঠিক যেন একেবারে দুয়ারে কাঞ্চনজঙ্ঘা! হ্যাঁ আক্ষরিক অর্থেই। নভেম্বররে গোড়ায় শীতে যখন ঢুকব ঢুকব করছে, ঠিক তখনই উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গা থেকে দেখা মিলছে অপরূপা কাঞ্চনজঙ্ঘার। এখন এটাই এলাকার ট্রেন্ডিং।
বাড়িতে থাকা পিঁপড়েই বলবে ভবিষ্যত, কীভাবে?
দুয়ারে কাঞ্চনজঙ্ঘা
কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে আর গাঁটের কড়ি খরচ করে দার্জিলিং যেতে হচ্ছে না উত্তরবঙ্গের মানুষদের। এখন উত্তরবঙ্গের একাধিক এলাকা থেকেই দেখা মিলছে কাঞ্চনজঙ্ঘার শৈলচূড়া। ডুয়ার্সের অধিকাংশ এলাকা, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি থেকে তো এমনিতেই দেখা যায়, এখন আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা থেকেই সকাল থেকে ঝকঝকে আকাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া ঘরে বসে দেখতে পেয়ে খুশি অনেকেই। বাইরের লোকেরা যাঁরা এই সময় পাহাড়ে না গিয়ে উত্তরবঙ্গের অন্য জায়গাগুলিতে ঘুরতে এসেছেন, তাঁদের তো বটেই, ঘরের লোকের পক্ষেও এমন দৃশ্য সহজলভ্য নয়। সকাল হলেই ছাদে উঠে মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করছেন কাঞ্চনজঙ্ঘার ছবি।
এখনও কতদিন দেখা যাবে এই দৃশ্য
উত্তরবঙ্গের যে কোনও এলাকা থেকেও দেখা মিলছে নয়নাভিরাম কাঞ্চন দৃশ্য। এমনিতেই দেখা যাচ্ছিল, তবে সোমবার থেকেই স্পষ্ট হয়েছে গিরিরাজ। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ট্রেন্ডিং এখন পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ। পরিবেশবিদ থেকে বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, আবহাওয়ার আচমকা বদল বা নিম্নচাপ জনিত কোনও সমস্যা নতুন করে তৈরি না হলে আরও ১৫-২০ দিন সমতলে থেকেও দেখা যেতে পারে বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম ওই পাহাড় চূড়া।
আরও পড়ুনঃ এখানে রাত যত বাড়ে, তত উজ্জ্বল হয় কাঞ্চনজঙ্ঘা, কখনও গিয়েছেন?
কেন এত পরিষ্কার?
বাতাসে ধূলিকণার প্রভাব কম থাকাতেই দৃশ্যমানতা বেড়ে যাওয়ায় সমতলের এলাকা থেকেও ওই পর্বত শৃঙ্গের সৌন্দর্য দেখা যাচ্ছে। গত দু’বছরে করোনার জন্য লকডাউনে দূষণের মাত্রা কমে যাওয়াও যার অন্যতম কারণ। উত্তরের সমতল এলাকায় সাধারণত নভেম্বরের শেষে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ নামেতে থাকে। ফলে, কুয়াশার আশঙ্কা আপাতত নেই। যদি না আচমকা আবহাওয়ার বড় কোনও বদল বা নিম্নচাপ তৈরি হয়।