বুশরা বিবির সঙ্গে ইমরান খানের বিয়ে অবৈধ। এমনটই জানাল পাকিস্তানের আদালত। প্রাক্তন প্রধামন্ত্রী ও পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সাজাও ঘোষণা করা হয়। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই বিয়েকে 'অ-ইসলামিক বিয়ে' বলে ঘোষণা করা হয়েছে। শাস্তি হিসাবে ২ জনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে শুনানি চলার পর আদালত এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে।
বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তাঁর প্রথম স্বামী ফরিদ মানেকাকে তালাক দেওয়া এবং ইমরান খানকে বিয়ে করার মাঝে প্রয়োজনীয় ইদ্দত শেষ না করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ইসলামে শরিয়ত অনুযায়ী, একজন মুসলিম নারীর তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর কিছু সময়ের জন্য পুনরায় বিয়ে করা নিষিদ্ধ। এটিকেই ইদ্দত বলা হয়। ইদ্দতের সময় অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নারী পুনরায় বিয়ে করতে পারবেন না। এই নির্দিষ্ট সময়কে ইদ্দত বলা হয়। নিয়ম অনুযায়ী ৪ মাস ১০ দিনের সময় নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে মহিলাদের অন্য পুরুষদের সামনে নিজেকে আড়াল করে রাখতে হবে।
পাকিস্তানি সংবাদ ওয়েবসাইট জিও নিউজের রিপোর্ট অনুযায়ী, 'আদালত আজ পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI)-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে, যাঁরা আদিয়ালা জেলে বন্দী, তাঁদের সাত বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে। অ-ইসলামিক বিবাহ মামলায় সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া উভয়কে ৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ইমরান খান ও বুশরা বিবি।'
চলতি বছরের শুরুর দিকে এক নিম্ন আদালতে বিবাহ মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। ৪৯ বছরের বুশরা বিবি পঞ্জাবের জমিদার পরিবারের। তাঁর প্রথম বিয়ে মানেকার সঙ্গে। সেই বিয়ে প্রায় ৩০ বছর ছিল। মানেকা পঞ্জাবের রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী পরিবারের মেয়ে ছিলেন।
বুশরা বিবির প্রাক্তন স্বামী খাওয়া ফরিদ মানেকার অভিযোগ, তাঁরা বিবাহিত থাকা অবস্থাতেই ইমরান খান তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবে প্রবেশ করেছিলেন। এরপর ধীরে ধীরে তিনিই তাঁদের বিয়ে ভেঙে দেন। বুশরা বিবিকে এরপর ইমরান খান ২০১৮ সালে বিয়ে করেছিলেন। ফরিদের অভিযোগ, তাঁর বিবাহিত জীবন ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু ইমরান খানের কারণে তা ভেঙে যায়।