যৌন ক্ষমতা বর্ধক ভেষজ 'কিদা জাদি' চুরি করতে ভারতে ঢোকে চিনের সেনা?

সম্প্রতি চিনা সেনাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগ উঠেছে। আসলে এই চিনা সৈন্যরা একটি বিরল হিমালয় ভেষজ খুঁজছে। অভিযোগ করা হয়েছে যে চিনারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে বিরল হিমালয়ের ভেষজটির সন্ধান করতে। মূল্যবান ভেষজটিকে ভারতে ‘কেদা জাদি’ বলা হয় এবং হিমালয়ের সোনা বা হিমালয়ের ভায়াগ্রা নামে পরিচিত।

Advertisement
যৌন ক্ষমতা বর্ধক ভেষজ 'কিদা জাদি' চুরি করতে ভারতে ঢোকে চিনের সেনা?কেদা জাদি
হাইলাইটস
  • সম্প্রতি চিনা সেনাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগ উঠেছে।
  • আসলে এই চিনা সৈন্যরা একটি বিরল হিমালয় ভেষজ খুঁজছে।

সম্প্রতি চিনা সেনাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগ উঠেছে। আসলে এই চিনা সৈন্যরা একটি বিরল হিমালয় ভেষজ খুঁজছে। অভিযোগ করা হয়েছে যে চিনারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে বিরল হিমালয়ের ভেষজটির সন্ধান করতে। মূল্যবান ভেষজটিকে ভারতে ‘কেদা জাদি’ বলা হয় এবং হিমালয়ের সোনা বা হিমালয়ের ভায়াগ্রা নামে পরিচিত।

ভারতের পাহাড়ি এলাকায় পাওয়া যায় এক ধরণের বিরল ছত্রাক (Himalayan Herb)। যার নাম ‘কিদা জাদি’ (কর্ডিসেপস)। চিনের সেনাবাহিনী বিরল প্রজাতির এই ছত্রাক (Himalayan Herb) সংগ্রহের জন্য ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেছে।
কর্ডিসেপস চিনের একটি ব্যয়বহুল ছত্রাক (Himalayan Herb)। মৃত শুঁয়োপোকার মাথা থেকে এই ছত্রাকের জন্ম হয়।

উত্তরাখণ্ডের অনেক এলাকায় এই ছত্রাক কেদা জাদি (Keeda Jadi) বলে পরিচিত। কিন্তু এর গুণাগুণের জন্য কিদা জাদির একাধিক নাম আছে। এই ছত্রাককে হিমালয়ান ভায়াগ্রাও বলা হয়ে থাকে। চিনে এই ছত্রাক হিমালয়ান গোল্ড নামে পরিচিত।
চিনে এই ছত্রাকের চাহিদা সবথেকে বেশি। সেখানে বহুমূল্য এই ছত্রাক। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে এই ছত্রাকের দাম কেজি প্রতি ১৩ হাজার ডলার থেকে বেড়ে ২০ হাজার ডলার হয়েছে। বর্তমানে এই ছত্রাক কেজি প্রতি ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়। এই ছত্রাক উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মচারি কিংবা নেতাদের উপহার হিসাবে দেওয়া হত বলেও জানা গেছে।

চিন এই ভেষজ সংগ্রহের জন্য অরুণাচল প্রদেশে বেশ কয়েকটি জায়গায় অনুপ্রবেশ করেছে। ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধের পিছনে থাকা বিরল হিমালয় ভেষজ সম্পর্কে আপনার যা জানা দরকার -

'কিদা জাদি' ওরফে হিমালয় গোল্ড কী?
কিদা জাদি কর্ডিসেপস নামক এক ধরনের ছত্রাক। কিদা জাদির বৈজ্ঞানিক নাম Ophiocordyceps sinensis। চিন ও নেপালে এটি ‘ইয়ার্সাগুম্বা’ নামে পরিচিত। তিব্বতিরা একে 'ইয়ার্সাগানবু' বলে। ইংরেজিভাষী বিশ্বে একে বলা হয় ‘শুঁয়োপোকা ছত্রাক’।

‘কিদা জাদি’ বৈশিষ্ট্য, ঔষধি গুণ
ভেষজটি বাদামী রঙের এবং দৈর্ঘ্যে দুই ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে। এটি একচেটিয়াভাবে হিমালয় অঞ্চলে পাওয়া যায় -- প্রধানত ভারতীয় হিমালয় এবং দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের কিংহাই-তিব্বতীয় মালভূমিতে -- এবং তিন থেকে পাঁচহাজার মিটার উচ্চতায় বৃদ্ধি পায়।

Advertisement

ভেষজটির দুর্দান্ত থেরাপিউটিক সম্ভাবনা রয়েছে যা কর্ডিসেপিন নামক একটি বায়োঅ্যাকটিভ অণু থেকে উদ্ভূত। বিজ্ঞানীরা এই যৌগটিকে একদিন কার্যকর অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টি-ক্যান্সার চিকিৎসায় পরিণত করার আশা করছেন। এটিকে অ্যাফোডিসিয়াকও বলা হয়। তাই একে হিমালয়ান ভায়াগ্রাও বলা হয়।

প্রচুর দাম
ভেষজটি চিনে সোনার চেয়েও মূল্যবান বলে দাবি করা হয়। ২০২২ সালে কিদা জাদির বৈশ্বিক বাজার ১,০৭২.৫০ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এটির প্রতি কিলোগ্রাম মূল্য ১০ থেকে ১৩ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন-ইউক্রেনের রকেটে নিহত ৬৩ রুশ সেনা, এযাবত্‍ সর্বোচ্চ মৃত্যু

 

POST A COMMENT
Advertisement