মাত্র ৪৫ দিন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা লিজ ট্রাসের

ইস্তফা দেওয়ার পর এই প্রসঙ্গে নিজের প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন ব্রিটেনের সদ্য পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। লিজ বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে না যে আমি সেই প্রতিশ্রুতিগুলি পূরণ করতে পারবো যার জন্য লড়াই করেছিলাম। যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম তখন দেশে অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা ছিল না। বিল জমা দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল পরিবারগুলি। তবে আমরা কর কমানোর স্বপ্ন দেখেছিলাম। একটি শক্তিশালী অর্থনীতির ভিত্তি স্থাপনের চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমি মনে করি সেগুলি করতে পারিনি। তাই পদত্যাগ করছি।'

Advertisement
মাত্র ৪৫ দিন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা লিজ ট্রাসেরলিজ ট্রাস
হাইলাইটস
  • মসনদে মাত্র ৪৫ দিন
  • ইস্তফা দিলেন লিজ ট্রাস
  • কে হবেন ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী?

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন লিজ ট্রাস। মাত্র ৪৫ দিনেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। বিগত কিছুদিন ধরেই তাঁর ইস্তফা নিয়ে জল্পনা চলছিল। এবার সেই জল্পনাই বাস্তবায়িত হল। 

ইস্তফা দেওয়ার পর এই প্রসঙ্গে নিজের প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন ব্রিটেনের সদ্য পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। লিজ বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে না যে আমি সেই প্রতিশ্রুতিগুলি পূরণ করতে পারবো যার জন্য লড়াই করেছিলাম। যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম তখন দেশে অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা ছিল না। বিল জমা দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল পরিবারগুলি। তবে আমরা কর কমানোর স্বপ্ন দেখেছিলাম। একটি শক্তিশালী অর্থনীতির ভিত্তি স্থাপনের চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমি মনে করি সেগুলি করতে পারিনি। তাই পদত্যাগ করছি।'

প্রসঙ্গত, কনজারভেটিভ পার্টির ৫৩০ সদস্যের YouGov সমীক্ষায় পাওয়া গিয়েছে যে, ৫৫% সদস্য মনে করেন লিজ ট্রাসের পদত্যাগ করা উচিত। অন্য কিছু সমীক্ষা থেকেও ইঙ্গিত মিলছিল যে লিজ ট্রাসকে তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। কারণ লিজের সিদ্ধান্তে তাঁর নিজের দলও সন্তুষ্ট ছিল না।  

মনে রাখা দরকার লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সম্প্রতি সংসদে একটি মিনি-বাজেট পেশ করেছিলেন। সেই বাজেটে তিনি কর বৃদ্ধি ও মূল্যবৃদ্ধি রোধে পদক্ষেপ নেন। কিন্তু অচিরেই সরকার সেইসব সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়। নির্বাচনী প্রচারণার সময়ও তিনি কর কমানোর বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন। যার জেরে দলের অভ্যন্তরে অনেকেই ক্ষুব্ধ হন এবং পদত্যাগের চাপ বাড়তে থাকে।

যেহেতু লিজ ট্রাস পদত্যাগ করেছেন, সেক্ষেত্রে এবার ব্রিটেনের রাজনীতিতে কী হতে চলেছে সেদিকে নজর রয়েছে প্রত্যেকের। ব্রিটেনে বিরোধী নেতা কিয়ার স্টারমার স্পষ্ট দাবি তুলছেন যে এখনই নির্বাচন হওয়া উচিত। যদিও লিজের দল এখনই নির্বাচনে না গিয়ে অন্য কাউক দায়িত্ব দিতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনউচ্চ রক্তচাপ থেকে আলসার, সকালে খালি পেটে চা খেলে আর কী কী ঝুঁকি?

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement