নেপালের সুপ্রিম কোর্ট কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার চার্লস শোভরাজকে (Charles Sobhraj) মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।শোভরাজ 'বিকিনি কিলার' (bikini Killer) নামে পরিচিত। বিচারপতি স্বপ্না প্রধান মাল্লা ও তিল প্রসাদ শ্রেষ্ঠার বেঞ্চ শোভরাজের মুক্তির নির্দেশ দেয়।
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র বিমল পাউডেল বলেন, শোভরাজ জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন এবং আদালত তাঁর বয়সের ভিত্তিতে মুক্তির আর্জি মঞ্জুর করেছে।
চার্লস শোভরাজ বেশ কয়েকটি খুন, চুরি ও প্রতারণার মামলায় জড়িত। তিনি ২০০৩ সালে নেপাল ভ্রমণ করার সময় দুই আমেরিকান পর্যটককে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। মুক্তির ১৫ দিনের মধ্যে তাঁকে নির্বাসনের নির্দেশও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন-নীতীশের দলের নেতার বাড়ি থেকে বিপুল মদ উদ্ধার, কামেশ্বর বললেন, 'এখানে থাকিই না'
সত্তর এবং আশির দশকের গোড়ায় তাইল্যান্ড-সহ বিভিন্ন দেশে মহিলা পর্যটকদের মাদক খাইয়ে খুনের অভিযোগ রয়েছে শোভরাজের বিরুদ্ধে। তাঁর অধিকাংশ শিকারের পরনেই নাকি থাকত বিকিনি।
বিশ্বের অপরাধ মানচিত্রে অন্যতম কুখ্যাত এই ‘সিরিয়াল কিলার’ দিল্লিতে ৩ পর্যটককে বিষ খাওয়ানোর অপরাধে ভারতের তিহাড় জেলেও দীর্ঘ দিন বন্দি ছিলেন। ‘শিকার’কে বাগে আনতে একাধিক ভাষায় পারদর্শী শোভরাজ তাঁর সুদর্শন চেহারা এবং আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বকে কাজে লাগাতেন। একাধিক বার জেল থেকে পালানোর অভিযোগও উঠেছে শোভরাজের বিরুদ্ধে। ১৯৮৬ সালে তিহার থেকেও পালিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কিছু দিন পরেই গোয়ার এক রেস্তরাঁ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
১৯৯৭ সালে ভারত থেকে মুক্তি পেয়ে ফ্রান্সে গিয়েছিলেন শোভরাজ। এর পর নেপালে গেলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৭৫ সালে কাঠমান্ডুতে দুই পর্যটককে খুনের মামলায় শোভরাজকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল নেপালের আদালত।
প্রসঙ্গত, কুখ্যাত এই আন্তর্জাতিক অপরাধীর জন্ম ভিয়েতনামে। পরে তিনি ফরাসী নাগরিকত্ব গ্রহণ করে। সব মিলিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় অন্তত ২০ জনকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন-মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা মণিপুরে, কমপক্ষে ১৫ পড়ুয়ার মৃত্যুর আশঙ্কা!