scorecardresearch
 

বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গেও হাজির CORONA,এভারেস্টেও দেখা মিলল আক্রান্তের

করোনা সংক্রমণে সারা বিশ্বে ত্রাহি ত্রাহি রব। এই মারণ ভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ আরও ভয়ানক রূপ ধারণ করেছে। আর সেই ভাইরাস এবার পৌঁছে গেল পৃথিবীর সবচেয়ে উচ্চতম শৃঙ্গেও। এভারেস্ট অভিযানেও এবার থাবা বসাল করোনা ভাইরাস। জানা যাচ্ছে, নরওয়ের এক পর্বতারোহীর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।

Advertisement
এভারেস্টেও এবার করোনা হানা এভারেস্টেও এবার করোনা হানা
হাইলাইটস
  • এভারেস্টেও এবার করোনা হানা
  • আক্রান্ত হলেন এক পর্বতারোহী
  • অন্যান্য পর্বতারোহীদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা

থাবা বসাল করোনা ভাইরাস।  জানা যাচ্ছে, নরওয়ের এক পর্বতারোহীর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।  এভারেস্ট অভিযানে আসা ওই পর্বতারোহী প্রথমে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হেলিকপ্টারে করে কাঠমান্ডুতে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে বুকে ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হন এরলেন্ড নেস নামের ওই পর্বতারোহী। তাঁর করোনা পরীক্ষা করানো হয়। আক তাতেই দেখা যায় ওই  পর্বতারোহী কোভিড পজিটিভ।

 এরলেন্ড নেসের রিপোর্ট পজিটিভ আসায় তাঁর সঙ্গে বাকি যাঁরা এভারেস্ট জয় করতে এসেছিলেন তাঁদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংবাদসংস্থাকে ওই পর্বতারোহী জানিয়েছেন, 'আমি করোনায় আক্রান্ত। আমি ঠিক আছি...হাসপাতাল আমার যত্ন নিচ্ছে।' এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে ছিলেন তিনি। হেলিকপ্টার করে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। নেস আরও জানান ১৫ এপ্রিল তার করোনার রিপোর্ট ইতিবাচক আসে। নেস বলেছিলেন যে এর পরে বৃহস্পতিবার আরও একটি পরীক্ষা হয়েছিল, সেই রিপোর্টটিও নেতিবাচক ছিল। 

প্রথমে নেসকে বেসক্যাম্প থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় ধারণা করা হয়েছিল যে এভারেস্টে ওঠার সময় অতিরিক্ত উচ্চতায় হয়তো শ্বাসকষ্ট হচ্ছ। বেস ক্যাম্পে যেসব পর্বতারোহীরা রয়েছেন তাঁদেরও কোভিড টেস্ট করানো হয়। আর রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে বেশ কয়েকজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে মোট কতজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন সে বিষয়ে বিশদে কিছু জানায়নি নেপাল সরকার।  নেপালি মাউন্টেনিয়ারিং-এর এক আধিকারিক দাবি করেছেন, নতুন করে কেউ করোনা আক্রান্ত হননি। তবে এভারেস্ট অভিযানে আসা পর্যটকদের মধ্যে যে উপসর্গুলি দেখা যাচ্ছ সেগুলি পাহাড়ে ট্রেক করতে গেলেও হয়। অতিরিক্ত উচ্চতায় ওঠার সময় শ্বাসকষ্ট অনেকেরই হয়। ইতিমধ্যেই নেপাল সরকারের তরফে ৩৭৭ জনকে এভারেস্ট অভিযানের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। যে হারে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে সারা বিশ্বে সেক্ষেত্রে ফের একবার কড়া লকডাউন করতে বাধ্য হলে নেপালের অর্থনীতি ধাক্কা খাবে। পর্যটন ব্যবসার উপর নির্ভরশীল যাঁরা তাদের ফের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।

Advertisement

 

Advertisement