অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানকে চরম শিক্ষা দিয়েছে। প্রথমে ভারত সামরিক অভিযানের সময় পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে। তার পরে পাকিস্তানের আক্রমণের প্রতিশোধ নেওয়ার সময় তাদের ১১টি সামরিক ঘাঁটিও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ভারতের এয়ার ডিফেন্স এবং সামরিক দক্ষতার সামনে পাকিস্তান সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করে এবং পরাজয়ের মুখোমুখি হয়। এমন পরিস্থিতিতে, এখন প্রতিবেশী দেশটি অস্ত্র কেনার জন্য আমেরিকার কাছে আবেদন করেছে।
পাকিস্তানের মন্ত্রীর স্বীকারোক্তি
পাকিস্তানের ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ওয়াশিংটনে প্রকাশ্যে উন্নত আমেরিকান অস্ত্রের দাবি করেছে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুসাদিক মালিক আমেরিকার কাছে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং যুদ্ধবিমান বিক্রি করার আবেদন করেছেন। যেখানে শেহবাজ শরিফ সরকার তাঁর দেশের জনগণের কাছে ভারতকে নিয়ে মিথ্য়া প্রচার চালাচ্ছে। সেই সময় এই দাবি পাকিস্তানকে নগ্ন করে দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে, পাকিস্তানি মন্ত্রী মালিক বলেছেন, 'ভারত ৮০টি বিমান নিয়ে এসেছিল, যার মধ্যে ৪০০টি মিসাইল ছিল, যার মধ্যে কয়েকটি পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম। আমাদের কী হয়েছিল তা আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন। আমাদের যদি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম না থাকত, তাহলে আমরা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতাম। ভারত যে প্রযুক্তি ব্যবহার করছিল তা খুবই উন্নত। তাই, আমরা বলছি, আমাদের সেই প্রযুক্তি দিন, আমরা আপনাদের কাছ থেকে কিনব।'
মুসাদিক মালিক পাকিস্তান পিপলস পার্টির সভাপতি এবং প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন দলের অংশ। যারা বর্তমানে মার্কিন কর্তা এবং সাংসদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ওয়াশিংটনে রয়েছেন। ভারতকে নকল করে পাকিস্তানও বিলাওয়াল ভুট্টোর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলকে বিদেশ সফরে পাঠিয়েছে। পাকিস্তানের মন্ত্রীর এই বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের বক্তব্যের ঠিক বিপরীত। মালিক যখন সাহায্য চাইছিলেন, তখন শরিফের সরকার ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতকে পাকিস্তানের বিজয় হিসেবে উপস্থাপন করে চলেছে। শরিফ দাবি করেছিলেন যে ভারত সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছিল এবং পাকিস্তান জয়ী হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ইসলামাবাদ পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকেও এর জন্য কৃতিত্ব দিয়েছে এবং তাঁকে ফিল্ড মার্শাল পদে পদোন্নতি দিয়েছে।
ভারতের নকল করেছে পাকিস্তান
শেহবাজ শরিফ এর আগে সীমান্ত উত্তেজনার সময় রাওয়ালপিন্ডি-সহ পাকিস্তানের মাটিতে ভারতীয় আক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি স্বীকার করেছিলেন যে ভারত তার ব্রহ্মস মিসাইল দিয়ে রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দর-সহ বেশ কয়েকটি পাকিস্তানি প্রদেশকে টার্গেট করেছিল। ইসলামাবাদে পৃথক একটি ভাষণে তিনি বলেন, ভারতেয় মিসাইল নূর খান বিমানঘাঁটি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আঘাত হেনেছে।