উজবেকিস্তানে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকের ফাঁকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্রাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সাক্ষাতে পুতিনকে মোদী বলেছিলেন,'এটা যুদ্ধের সময় নয়।'মোদীর এই বক্তব্যের প্রশংসা করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ। এবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে যুদ্ধবিরোধী অবস্থান স্পষ্ট করে দিল নয়াদিল্লি। ভারত সরকার জানাল, অবিলম্বে সংঘাত থামিয়ে আলোচনার টেবিলে আসতে হবে রাশিয়া ও ইউক্রেনকে। বিশেষ করে পরমাণু যুদ্ধের শঙ্কা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভাষণে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন,'ইউক্রেন যুদ্ধ গোটা বিশ্বে গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যৎ আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। বিশেষ করে পরমাণু যুদ্ধের শঙ্কা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। ভারত কড়াভাবে জানাতে চায়, এখনই যুদ্ধ থামিয়ে আলোচনার টেবিলে ফিরুক রাশিয়া ও ইউক্রেন। যেমনটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন,এটা যুদ্ধের সময় নয়।'
সেই সঙ্গে যুদ্ধের ফলে গোটা বিশ্বে যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা-ও মনে করিয়ে দেন জয়শঙ্কর। তাঁর কথায়,'যুদ্ধের জের পড়েছে বিশ্বের দূরের কোণায়। আমরা সবাই দেখছি কীভাবে দাম বেড়েছে জিনিসপত্রের। খাদ্যশস্য, সার এবং জ্বালানির আকাল দেখা দিয়েছে। এই বিষয়টি নিয়েও উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে।'
বলে রাখি, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে এখনও নিন্দা করেনি ভারত সরকার। বরং যুদ্ধ থামিয়ে আলোচনার পথেই সমাধান সূত্র খোঁজার পক্ষে সওয়াল করে গিয়েছে। সেই জায়গা দেখলে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে জয়শঙ্করের বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত কূটনৈতিক মহলের। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বলেছিলেন, এটা যুদ্ধে সময় নয়। সূত্রের খবর, তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন পুতিন। তিনি বলেছিলেন,'ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে ভারতের অবস্থান জানি। এটা তাড়াতাড়ি যাতে মিটে যায় সেই চেষ্টা করছি।' মোদীর এমন স্পষ্ট বার্তার তারিফ করেছেন ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৭৭ তম সাধারণ অধিবেশনের মঞ্চে বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতাদের সামনেই তিনি বলেন,'ভারতের প্রধানমন্ত্রী পুতিনকে উচিৎ কথাই বলেছেন।'
আরও পড়ুন- দিল্লির মসজিদে ভাগবত, RSS প্রধানকে 'রাষ্ট্র ঋষি' বললেন ইমাম