রবিবার থেকে চিনের তিয়ানজিনে শুরু হয়েছে শাংহাই কো অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO Summit 2025) সামিট। এই সম্মেলনে অংশ নিতে চিন সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)। রবিবার তিয়ানজিনে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন মোদী। তবে আজ, সোমবারের দিনটি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কেন? সেই বিষয়েই জানতে পারবেন bangla.aajtak.in এর এই প্রতিবেদনে। কূটনীতির কাঠিন্য নয়, একেবারে সহজ ভাষায়।
সোমবার ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হবে?
সোমবার সকালে, ৭টা ৩০ মিনিট(ভারতীয় সময়) থেকে SCO র বিভিন্ন নেতাদের বৈঠক শুরু হবে। এই মিটিংয়ে সমস্ত সদস্য দেশের শীর্ষ নেতারা অংশ নেবেন। দেশগুলি নিজেদের যৌথ স্বার্থ ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করবে। এবারের SCO সামিটে এই বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। ট্রাম্প ট্যারিফের আবহে এই বৈঠকে কূটনীতির নতুন অধ্যায় শুরু করতে পারে SCO র সদস্য দেশগুলি।
রবিবার কী হয়েছে?
রবিবারের দিন শুরু হয়েছিল আনুষ্ঠানিক গ্রুপ ফটো সেশন দিয়ে। ছবিতে প্রথম সারিতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সামিট শুরুর আগে, শি জিনপিং এবং তাঁর স্ত্রী পেং লিউয়ান বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অতিথিদের জন্য বিলাসবহুল নৈশভোজের আয়োজন করেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদী সহ অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
রবিবারই মোদী এবং জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। সন্ত্রাস মোকাবিলায় চিনকে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
সোমবারের ব্যস্ত শিডিউল
সোমবার সকালে ৭টা ৩০ মিনিট থেকে ৯টা ১০ মিনিট পর্যন্ত SCO নেতাদের বৈঠক চলবে। বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এর পরই সকাল ৯টা ৪৫ থেকে ১০টা ৩০ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বৈঠক। দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা, খনিজ তেল এবং বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এমনটাই মত কূটনৈতিক মহলের। সবশেষে, সকাল ১১টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী তিয়ানজিন থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন।
ট্রাম্পের অস্বস্তি?
রবিবারই চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তারপরেই আজ সোমবার ভ্লাদিমির পুতিনের মুখোমুখি। সাম্প্রতিক ট্যারিফ চাপের আবহে, এই মিটিংগুলি কিছুটা হলেও অস্বস্তি বাড়াতে পারে আমেরিকার, এমনটাই ধারণা কূটনৈতিক মহলের।