রবিবার দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। জেজু এয়ারের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ফ্লাইটটি ১৮১ জন যাত্রী নিয়ে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে উড়ে আসছিল। অবতরণের সময় বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে একটি কংক্রিটের বেড়ায় ধাক্কা খায় এবং মুহূর্তেই আগুনে ফেটে যায়।
মৃত্যুর সংখ্যা এবং উদ্ধার কার্যক্রম
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে এই দুর্ঘটনায় বিমানটিতে থাকা ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেবলমাত্র দু’জন যাত্রী জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনা দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান চলাচলের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনা হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে।
দুর্ঘটনার কারণ
দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় সময় রবিবার সকাল ৯:০৭ মিনিটে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করছিল। তবে তখনই রানওয়ে থেকে সরে গিয়ে এটি একটি কংক্রিটের বেড়ায় ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার সময় বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার পুরোপুরি নামানো হয়নি বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ফলে অবতরণের সময় ভারসাম্য হারিয়ে এটি বিধ্বস্ত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবি এবং ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বিমানটি ধোঁয়া এবং আগুনে ঢেকে গেছে। আঘাতের তীব্রতায় পুরো বিমানটিই বিস্ফোরিত হয় এবং ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। স্থানীয় উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন।
সরকারি প্রতিক্রিয়া
দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সুং-মোক এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত এবং ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া দুর্ঘটনার কারণ নির্ধারণে একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই দুর্ঘটনা গোটা দক্ষিণ কোরিয়ায় শোকের ছায়া ফেলেছে। এত বড় বিমান দুর্ঘটনা শুধুমাত্র যাত্রীদের পরিবার নয়, গোটা দেশের বিমান চলাচল ব্যবস্থার জন্য একটি বড় সতর্ক সংকেত। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।