World Population: জেট গতিতে জনসংখ্যা বাড়ছে পৃথিবীতে। বিশ্বে ১০০ কোটি থেকে ২০০ কোটি জনসংখ্যা হতে সময় লেগেছিল ১২৫ বছর। কিন্তু ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি ছুঁতে লাগল মাত্র ১২ বছর। চলতি বছরের ১৫ নভেম্বর পৃথিবী গ্রহে জনসংখ্যা ৮০০ কোটি পেরিয়ে যাবে। জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, চিকিত্সা বিজ্ঞানের উন্নতি ও প্রযুক্তির দ্রুত উন্নতির জেরেই এত দ্রুত গতিতে জনসংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ।
তবে গত কয়েক দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কিছুটা হলেও কমেছে। তা সত্ত্বেও হিসেব করে দেখা যাচ্ছে, ২০৩৭ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা হয়ে যাবে ৯০০ কোটি। ২০৫৮ সালে তা বেড়ে হবে ১ হাজার কোটি। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্টাস ২০২২-এর রিপোর্ট অনুযায়ী এমনই হিসেব পাওয়া যাচ্ছে। কারণ, জন্মের সময় শিশু বা মায়ের মৃত্যুর হার কমেছে।
আরও পড়ুন: খোঁজ মিলল 'পৃথিবীর মতো' ২ গ্রহের, জল-প্রাণ আছে?
চাপ নিতে পারবে প্রকৃতি?
রাষ্ট্রসঙ্ঘের আদমসুমারি ফান্ডের প্রধান নাটালিয়া কানেমের বক্তব্য, জনসংখ্যা বৃদ্ধির জেরে কোনও আশঙ্কার কিছু নেই। ভয়টা হল, প্রাকৃতিক শক্তি ও সম্পদের দ্রুত হ্রাস হওয়ার সম্ভাবনা। বিশেষ করে সেই সব দেশের, যারা জনসংখ্যার বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত নয়। প্রজননের হারও বেশি।
একদল বিজ্ঞানীর চিন্তা, পৃথিবী এতো বেশি সংখ্যক মানুষের বোঝা কী ভাবে বইবে? কতটা সহ্য করতে পারবে প্রকৃতি? মানুষের কাছে বর্তমান সম্পদের বিকল্প কী রয়েছে, তা নিয়েও ভাবতে হবে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের নিরিখে মানুষের দরকার ১.৭৫ বিশ্ব
WWF ও গ্লোবাল ফুটপ্রিন্ট নেটওয়ার্কের তথ্য অনুযায়ী, যে হারে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, এরকম চলতে থাকলে পৃথিবীতে আঁটবে না। আরও ১.৭৫ পৃথিবী লাগবে মনুষ্যজাতির টিকে থাকতে। অর্থাত্ এখন যে আয়তনের পৃথিবী, তার চেয়ে আরও বড় বিশ্ব প্রয়োজন। জনসংখ্যার এই বৃদ্ধির জেরেই আর্থিক মন্দা বারবার আসছে বলেও দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।
৮ দেশে সবচেয়ে বেশি মানুষ
রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যে ৮টি দেশে সবচেয়ে দ্রুত জনসংখ্যা বাড়বে। এগুলো হল, কঙ্গো, মিশর, ইথিয়োপিয়া, ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপিন্স ও তানজানিয়া। ২০৫০ সাল পর্যন্ত যে ভাবে জনসংখ্যা বাড়বে, তাতে সবচেয়ে বেশি ভাগ থাকবে আফ্রিকা ও সাব সাহারার দেশগুলির। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতীয় যেভাবে বসবাস করেন, তাতে ০.৮ পৃথিবী প্রয়োজন হয়। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লোকেরা যে ভাবে বসবাস করে, তাতে পৃথিবীর মতো ৫টি গ্রহের প্রয়োজন।