'...এমনিতেই অসম বাংলাদেশের মধ্যে ঢুকে যাবে,' হঠাত্‍ কেন বললেন হিমন্ত?

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এরইমধ্যে বড়সড় মন্তব্য করে বসলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বললেন, এমনিতেই অসম বাংলাদেশের মধ্যে ঢুকে যাবে। তবে কেন তিনি একথা বললেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন প্রতিবেশী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement
'...এমনিতেই অসম বাংলাদেশের মধ্যে ঢুকে যাবে,' হঠাত্‍ কেন বললেন হিমন্ত?হিমন্ত বিশ্ব শর্মা
হাইলাইটস
  • ডিসেম্বরের শুরুতে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা অসমে জনসংখ্যার বিন্যাস নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
  • 'যদি মুসলিম জনসংখ্যা ৫০ শতাংশে পৌঁছে যায়, তবে অসমের পক্ষে টিকে থাকা মুশকিল হবে।'
  • NCP-এর নেতা দাবি করেন, যদি ভারত বাংলাদেশ অশান্ত করার চেষ্টা করে তাহলে ঢাকার উচিত ভারতের উত্তর-পূর্ব এলাকাকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া।

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এরইমধ্যে বড়সড় মন্তব্য করে বসলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বললেন, এমনিতেই অসম বাংলাদেশের মধ্যে ঢুকে যাবে। তবে কেন তিনি একথা বললেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন প্রতিবেশী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে একটি সরকারি অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশ থেকে অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসন নিয়ে মুখ খুলেছেন হিমন্ত। তিনি বলেছেন, "অসমে ৪০ শতাংশ জনগণই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। যদি এটা আরও ১০ শতাংশ বেড়ে যায়, তবে আমরা এমনিতেই বাংলাদেশে চলে যাব।" সম্প্রতি এক বাংলাদেশি নেতা, উত্তরপূর্ব ভারতকে বাংলাদেশে জুড়ে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। সেই প্রশ্নের উত্তরেই এদিন এই মন্তব্য করেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

বিষয়টির গুরুত্ব বুঝিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এই কারণেই অনুপ্রবেশ নিয়ে আমি গত ৫ বছর ধরে এত সোচ্চার হয়েছি।"

উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতে বাংলাদেশের নতুন গঠন হওয়া পার্টি NCP-এর নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ দাবি করেন, যদি ভারত বাংলাদেশ অশান্ত করার চেষ্টা করে তাহলে ঢাকার উচিত ভারতের উত্তর-পূর্ব এলাকাকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া।  হাসনাতের দাবি, চিকেন নেক বা শিলিগুড়ি করি ডোরের কারণে ভারত উত্তর-পূর্ব এলাকা রক্ষার্থে দুর্বল।

প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের শুরুতে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা অসমে জনসংখ্যার বিন্যাস নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। অসমের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, যদি মুসলিম জনসংখ্যা ৫০ শতাংশে পৌঁছে যায়, তবে অসমের পক্ষে টিকে থাকা মুশকিল হবে। 'আজতক ইভেন্ট'এ তিনি জানান, অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসনের জেরে অসমের আদিম জনগোষ্ঠীরা সংকটের মধ্যে পড়ছে।

অসমের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ২০২১ সালে অসম মুসলিম জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৩৮ শতাংশ। ২০২৭-এ তা বেড়ে ৪০ শতাংশে পৌঁছতে পারে। কারণ ১৯৬১ সাল থেকে অসমে দশকে মুসলিম জনসংখ্যা৪-৫ শতাংশ করে বাড়ছে। তাঁর দাবি, "অসমে মুসলিম জনসংখ্যা ৫০ শতাংশ হয়ে গেলে অন্য সম্প্রদায়ের লোকেরা আর টিকতে পারবে না।"

POST A COMMENT
Advertisement