২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ক্রমশই শক্তি বাড়াচ্ছে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির AIMIM। তৃণমূল থেকে কিছুদিন আগে মিমে যোগদান পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল।
বঙ্গ সফরে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে তাঁর দলের নেতাদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নাম নিয়েছিলেন কুণালেরও। এবার তিনিও পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটলেন। বললেন, 'আমাকে উনি দোষ দিচ্ছেন। কিন্তু, উনি তো নিজেই খুনের মামলায় জেল খেটেছেন। আমাকে কথা বললেন ভেবেচিন্তে বলবেন।'
বাংলায় এসে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের দুর্নীতির অভিযোগ এবং জেল খাটার বিষয় উত্থাপন করে সরব হন অমিত শাহ। নাম করে করে এক একজনের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের কথা বলেন। পাল্টা মমতা বলেন, ’তৃণমূলের সবাই চোর আর তুমি সাধু? শুধু তুমি খাবে আর তোমার ছেলে খাবে?’ অমিত শাহের ছেলে জয় শাহের নাম করেও কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী
রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে বিভিন্ন ইস্যুতে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর শাহকে পরামর্শ, 'বাংলায় না এসে দিল্লি সামলান। বাংলাকে সামলানোর জন্য আপনার মতো দূরাচারীর প্রয়োজন নেই।'
অভিষেকের প্রশ্ন, 'অনুপ্রবেশ কি শুধু বাংলাতেই হয়? পহেলগাঁও বা দিল্লিতে যে ঘটনা ঘটেছে, তার দায় কে নেবে?' তাঁর দাবি, ওই সব জায়গায় তো তৃণমূল সরকার নেই। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের, আর সেই দায়িত্বে রয়েছেন অমিত শাহ। তাই কোথাও অনুপ্রবেশ বা নিরাপত্তার ব্যর্থতা হলে দায় এড়ানো যাবে না।
এই দিন বাঁকুড়ার সভায় বিজেপির ভোটারদের নিয়ে বিরাট দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, 'যেই ভোটটা বিজেপির লোকেরা বিজেপিকে দিতেন। আর দেবেন না। এই বিশ্বাসঘাতকদের ভোট দেবেন না। এরা হিন্দুধর্মকে বিপথে নিয়ে যাচ্ছে।' পাশাপাশি তিনি বলেন, 'ধর্ম মানে বিভেদ নয়, বিদ্বেষ নয়। ধর্ম মানে শান্তি। আপনাদের ধর্ম তো আগুন লাগিয়ে বেড়ানো। আপনাদের ধর্ম বিভাজনের।'
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাংলায় দুই-তৃতীয়াংশ সিট পাওয়ার দাবিকে উড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আজ বাঁকুড়ার সভা থেকে বলেন, 'আজকে নাকি বলেছে দুই-তৃতীয়াংশ পাব। এখন আর বলতে পারছে না ইস বার ২০০ পার। এবার বলতে হবে এবার দেশ থেকে পার। বাংলা জিতে কীভাবে তোমাকে দেশ থেকে তাড়াতে হয়, গণতন্ত্রের মাধ্যমে দেখাব। বাংলাই দিশা দেখাবে...।'
বাঁকুড়ার জনসভা থেকে অমিত শাহকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাছা বাছা বিশেষণে সরাসরি বিজেপি, মোদী, অমিত শাহকে কার্যত তুলোধনা করেন মমতা। তিনি এদিন বলেন, "বাংলায় একজন দুঃশাসন এসেছেন। ভোট আসলে বাংলায় দুর্যোধন আর দুঃশাসন আসে। শকুনির চ্যালা চামুন্ডারা ঘুরে বেড়াচ্ছে।" যদিও এই আক্রমণে কোনও নাম উল্লেখ করেননি তিনি।
অনুপ্রবেশের নিয়ে বাংলা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, এই দাবি করে ফের সরব হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানান, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে দেশছাড়া করা হবে এবং সীমান্ত সুরক্ষা আরও জোরদার করা হবে। একইসঙ্গে, তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে অমিত শাহ বলেন, 'কোনও সরকারই নিজের রাজ্যকে অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয়স্থল বানাতে পারে না।' শাহকে প্রশ্ন করা হয়, বিএসএফ তো কেন্দ্রের হাতে। উত্তরে তিনি বলেন, 'রাজ্য সীমান্ত ঘেরার জন্য প্রয়োজনীয় জমি দিচ্ছে না, অসহযোগিতা করছে। ৭টি চিঠি দেওয়া হয়েছে।'
ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে বাংলায় এসে ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন অমিত শাহ। জানালেন বাংলা দখল তাঁদের টার্গেট। কারণ এই রাজ্যেই জনসংঘ ও ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তাঁর দাবি, ২০১৬ সালের ভোটে বাংলায় মাত্র ৩ আসন পেয়েছিল বিজেপি। তারপর মাত্র ৫ বছরের মধ্যে সেই আসন সংখ্যা বেড়ে হয় ৭৭। শাহ বলেন, 'আমি হাওয়ায় কথা বলছি না। তথ্য বলছে আমরাই জিতব। সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসব।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি RTI সার্টিফিকেট দেখিয়ে প্রশ্ন করেন, ’আমাদের রাজ্যসভার সংসদ সাকেত গোখলে RTI করেছিলেন। আপনি আমার মন্ত্রীদের জেল খাটার কথা বলছেন, আপনি কত বার জেল খেটেছেন?’