বাংলার অধিকার রক্ষার দাবিতে কলকাতার রাজপথে মিছিল মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের। মিছিলে অংশ নেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের মতো প্রথম সারির নেত্রী। কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক রাজপথে হাঁটেন। মিছিল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগও তোলে তৃণমূল।
সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে ‘বঙ্কিমদা’ বলে সম্বোধন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। যা নিয়ে সংসদের বাইরে-ভিতরে লাগাতার প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেস। বিষয়টিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবার বললেন, 'বঙ্কিমদাও শ্রদ্ধাসূচক। সিনিয়রকে, বড় দাদাকে বলতেই পারে। পশ্চিমবঙ্গে দাদা, বোন, দিদি এগুলো চলে। সেই অর্থেই হয়ত বলেছেন। বঙ্কিমবাবু অ্যাপ্রোপিয়েট।'
লোকসভায় বন্দে মাতরম নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলার মনীষী ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে 'বঙ্কিমদা' বলে সম্বোধন করতেই বাংলাজুড়ে শুরু হয়েছে চর্চা। এমন সুযোগ ছেড়ে দিতে রাজি নয় তৃণমূল কংগ্রেসও। গতকালই আলোচনার সময় মোদীকে থামিয়ে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তোলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। এরপর সংসদে জোরদার প্রতিবাদ করেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারও। তবে এখানেই ইস্যু শেষ হয়নি। সোমবারের পর মঙ্গলবারও লোকসভায় বিষয়টি উত্থাপন করেন আর এক তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের হাতে এসে পৌঁছেছে শ্রম সংক্রান্ত আইনের প্রতিলিপি। সেখানে ১০০ দিনের কাজে টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে নয়া শর্ত দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবাদেল কোচবিহারের প্রকাশ্য জনসভা থেকেই এই সংক্রান্ কাগজের প্রতিলিপি ছিঁড়ে ফেললেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
সংসদে বন্দে মাতরম নিয়ে আলোচনায় সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদে যখন বন্দে মাতরম-এর দেড়শো বছর পূর্তি নিয়ে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তখনই কেন্দ্রকে এই ইস্যুতে সরাসরি আক্রমণ করলেন মমতা। মমতার অভিযোগ, দেশের ইতিহাস সম্পর্কে বিজেপির ধারণা নেই, তাই বাংলার মহাপুরুষদের অপমান করতে দ্বিধা করে না তারা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি শুনেছি বিজেপির কিছু নেতা বলেছেন, তাঁরা নেতাজিকে পছন্দ করেন না। নেতাজি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রাজা রামমোহন রায়, বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্রকে যদি অপমান করেন, তবে কাকে সম্মান করবেন?” তিনি আরও দাবি করেন, বাংলার আত্মমর্যাদা ও স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালির অবদান অস্বীকার করার চেষ্টা চলছে। বন্দে মাতরম বাংলার গর্ব ও জাতীয় চেতনার প্রতীক, সেটিকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহারের বিরোধিতা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হলে ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধা ও জাতীয় নেতাদের সম্মান করা জরুরি।
রবিবার কলকাতার ব্রিগেড গ্রাউন্ডে '৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ' হয়েছে। হিন্দুদের সেই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তবে তিনি যাননি। সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় অভিযোগ করেছিলেন, গীতা পাঠের অনুষ্ঠানটি বিজেপি আয়োজন করেছিল, সেই কারণে তিনি যাননি। তবে সেই অভিযোগ খণ্ডন করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেন, তাঁরা হিন্দু হিসেবে গিয়েছিলেন অনুষ্ঠানে। মঞ্চেও ওঠেননি। শুধু গীতাপাঠ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু বিরোধী বলে যাননি।
মুর্শিদাবাদে যে মসজিদ হচ্ছে তাতে আপত্তি নেই বিজেপির। তবে বাবরি নামে আপত্তি রয়েছে। জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শিলান্যাসের সময় সরকার কেন পুলিশি নিরাপত্তা দিল? সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।
'কেউ বলছে বাবরি মসজিদ গড়ব। কেউ বলছে মসজিদ তৈরি রুখব। কংগ্রেসের জমানা চলে যাওয়ার পর বাংলায় আর কারখানা নেই'। হুমায়ুন কবীরের বাবরি মসজিদ শিলান্যাস নিয়ে প্রতিক্রিয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের।
মালদার আদিনা মসজিদ নিয়ে দীর্ঘদিনের বিতর্ক। এবার রাজ্যসভায় এই প্রসঙ্গ তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়,'পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগের নথি থেকে স্পষ্ট মালদার আদিনা মসজিদ আসলে আদিনাথ মন্দির'।
গদ্দার। নাম না করে হুমায়ুন কবীরকে তোপ দাগলেন তৃণমূলের ফিরহাদ হাকিম। শনিবার তৃণমূলের সভায় তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপির উস্কানিতে বাংলা সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছে।