
নয়াদিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতর অভিযান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের তৃণমূল প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করবেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের সঙ্গে। মূলত SIR-এ প্রবীণ এবং অসুস্থদের শুনানিতে ডাকা নিয়ে হয়রানি, শুনানির সময়ে BLA-দের থাকতে না দেওয়ার মতো ইস্যুগুলি নিয়ে কমিশনের দফতরে পৌঁছবে তৃণমূল।
জ্ঞানেশ কুমারের কাছে কোন কোন অভিযোগ জানাবেন অভিষেক?
SIR প্রক্রিয়ার প্রথম দিন থেকেই বিরোধিতা করে এসেছে তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে এই প্রক্রিয়া স্থগিত করার আর্জিও জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী তিনি নিজে শেষ দিন পর্যন্ত SIR এনুমারেশন ফর্ম ফিলআপ করেননি বলেও দাবি করেছিলেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও SIR-এর নামে সাধারণ মানুষের হয়রানির অভিযোগ তুলে আসছেন বরাবর। একজনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে দিল্লিতে কমিশনের দফতর ঘেরাও করার হুঁশিয়ারিও শোনা গিয়েছিল তাঁর গলায়।
আর এবার সশরীরে তিনি পৌঁছবেন জ্ঞানেশ কুমারের দফতরে। ১০ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে অভিষেক ছাড়াও থাকবেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, নাদিমুল হক, প্রদীপ মজুমদার, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মানস ভুঁইয়া, মমতাবালা ঠাকুর, সাকেত গোখলে এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। জ্ঞানেশ কুমারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অভিষেকরা।
এর আগে অবশ্য গত নভেম্বর মাসে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরে গেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। অন্যান্য রাজ্যের প্রসঙ্গ টেনে পরিসংখ্যান দিয়ে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে অভিষেকের প্রশ্ন ছিল, তথ্য বলছে পশ্চিমবঙ্গেই সবথেকে কম নাম বাদ গেছে। তাহলে অন্যান্য রাজ্যে মাইক্রো অবজার্ভার না পাঠিয়ে শুধু বাংলাতেই কেন পাঠানো হল? বাংলার ক্ষেত্রে এক নিয়ম আর উত্তরপ্রদেশ গুজরাতের জন্য কি আলাদা নিয়ম, জানতে চান অভিষেক।
অভিষেক জ্ঞানেশ কুমারকে উদ্দেশ করে এর আগে প্রশ্ন করেছিলেন, 'মনে রাখতে হবে এটা ইলেকশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া, এফ গভর্নমেন্ট নয়। কমিশন BJP-র পার্টি অফিস নয়। নাম বাদ যাওয়া নিয়ে যে যে প্রশ্ন উঠছে তার উত্তর কমিশনকে দিতে হবে। নাহলে সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।' এবার দেখার তাঁর এই প্রশ্নগুলোই আজ সরাসরি তিনি জ্ঞানেশ কুমারকে করেন কি না।