তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, দাবি মুস্তারার হুমায়ুন কবিরের নতুন দল জনতা উন্নয়ন পার্টির প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগ করলেন মালদার বৈষ্ণবনগরের প্রার্থী মুস্তারা বিবি। ওই কেন্দ্র থেকেই তাঁকে প্রার্থী করেছেন হুমায়ুন।
মুস্তারা বিবি জানিয়েছেন, তিনি কালিয়াচক থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। তবে হুমায়ুন কবির প্রার্থী করার পরই রাতারাতি তাঁকে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়। ওই মহিলার দাবি, তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কেন তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ, সেকথাও তাঁকে জানানো হয়নি। যদিও মালদা জেলা পুলিশের তরফে এর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
মুস্তারা বিবি বলেন, 'কালিয়াচক থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করতাম। আমাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। হুমায়ুন কবির সাহেব আমার নাম ঘোষণার পরই পুলিশের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে আমার তাতে কোনও অসুবিধে নেই। আমি আগে তৃণমূল করতাম। এখন থেকে হুমায়ুন কবিরের নির্দেশ মেনে কাজ করব। বাড়ির লোকও চাইছে, আমি প্রার্থী হই। জেতার বিষয়েও আশাবাদী। পরিবার আমার সঙ্গে আছে।'
মুস্তারার স্বামী কুরবান আনসারিও একই অভিযোগ করেন। জানান, জনতা উন্নয়ন পার্টি প্রার্থী করার মাশুল দিতে হয়েছে তাঁর স্ত্রীকে। চাকরি থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। নিজেকে প্রাক্তন তৃণমূল কর্মী দাবি করে কুরবান বলেন, 'আমার স্ত্রীর চাকরি চলে গেলেও আক্ষেপ নেই। ও ভোটে দাঁড়াবে। নাম ঘোষণা হয়ে গেছে। ঘোষণার পর মানুষের মধ্যে উৎসাহ দেখেছি। আগে তৃণমূল করতাম। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে কাজ করতে পারতাম না। আমাদের লড়াই বিজেপির সঙ্গেই হবে।'
মুস্তারা বিবি ভোটে জিতবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন কুরবান। তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে তাঁর দাবি, বৈষ্ণবনগরে রাজ্যের শাসকদলের জয়ী বিধায়ক কোনও কাজ করেননি। তাঁর কথায়, 'তৃণমূল কংগ্রেসকে ভয় পায় না। ওদের প্রার্থী তৃতীয় হবে। গত ৫ বছরে রাজ্যের শাসকদল কোনও কাজ করেনি। সংখ্য়ালঘুদের পিছিয়ে রেখেছে। তারা তো মুসলমানদের জন্য কিছু করেনি। মালদায় ৫২ শতাংশ মুসলিম। কিন্তু প্রতিবার প্রার্থীরা এসে ভোট নিয়ে চলে যান।'
প্রসঙ্গত, গত সোমবার জনতা উন্নয়ন পার্টি গঠন করেন হুমায়ুন। সেদিনই মঞ্চ থেকে একাধিক কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। তিনি নিজেও বেলডাঙ্গা ও রেজিনগর থেকে দাঁড়াবেন বলে জানান। তাঁদের মধ্যে বালিগঞ্জের প্রার্থী নিশা চট্টোপাধ্যায়ের নাম পরে প্রত্যাহারও করে নেন। যা নিয়ে বিতর্ক চলছে। এরইমধ্যে মুস্তারা বিবির এই দাবি।