বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ২০২৬ সালের ভোটমুখী বাংলায় এখনও পর্যন্ত যে সব রাজনৈতিক ঘটনা নজর কাড়ল,তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হিসেবে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের নয়া রাজনৈতিক দল ও বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের শিলান্যাসকে প্রথম সারিতে রাখাই যায়। পূর্ব নির্ধারিত দিন হিসেবেই আজ অর্থাত্ সোমবার মুর্শিদাবাদে নয়া রাজনৈতিক দলের ঘোষণা করে দিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তাঁর নতুন দলের নাম, 'জনতা উন্নয়ন পার্টি'। তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই হুমায়ুন কবীরকে সাসপেন্ড করেছে। তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে কিন্তু বহিষ্কার করেনি। অতীতেও হুমায়ুনকে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তৃণমূল সাসপেন্ড করেছিল। পরে আবার দলে ফিরেছে।
‘কিংমেকার’ হতে অন্তত ৯০টি আসনে জিততে হবে
আপাতত নজরে হুমায়ুনের নতুন দল, জনতা উন্নয়ন পার্টি। মির্জাপুর থেকে নয়া দল ঘোষণা করছেন ভরতপুরের বিধায়ক। তবে জনতা উন্নয়ন পার্টির প্রতীক কী, তা এখনও জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই হুমায়ুন ঘোষণা করেছেন, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে অন্তত ৯০টি আসনে জয়লাভ তাঁর লক্ষ্য। তাঁর দাবি, তৃণমূল বা বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে, তারা কেউই বাবরি মসজিদ গড়তে দেবে না। তাই সরকারের ‘কিংমেকার’ হতে অন্তত ৯০টি আসনে জিততে হবে। হুমায়ুনের বক্তব্য, রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৩৫টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাঁর দল। বলেছিলেন, ‘টাকা-জমি দিয়ে বাবরি মসজিদ করা যাবে না। আমাদের সম্প্রদায়ের মানুষ যত ক্ষণ না ক্ষমতায় আসছেন, তত ক্ষণ এই মসজিদ কেউই করতে দেবে না। তাই আগামী নির্বাচনে অন্ততপক্ষে ৯০টি আসনে আমাদের জিততে হবে। আপনারা সবাই এগিয়ে আসুন। এ দল হবে আপনাদের দল।’ বাম-কংগ্রেসকে জোট করে লড়ার প্রস্তাবও দিয়ে রেখেছেন হুমায়ুন। তাঁর কথায়, ‘মুর্শিদাবাদের মোট ২২ টি আসনের মধ্যে, আমি ৯টি আসনে লড়ব। অধীর চৌধুরীর কংগ্রেসকে ছাড়ব ৯টি আসন। সিপিএম-কে তিনটি আসন এবং নওশাদের দলের জন্য একটি আসন ছাড়ব। এতে তৃণমূল শূন্য হবে।’
ছাব্বিশের বাংলায় মুসলিম ভোটব্যাঙ্কে বড় বদলের সম্ভাবনা
২০২১ সালে বাংলা দেখেছিল দল বদলের রাজনীতি। ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে বাংলা দেখছে মন্দির, মসজিদ। গত বিধানসভা ভোটে নওশাদ সিদ্দিকির দল আইএসএফ তৈরি হয়েছিল। এবং সবাইকে চমকে দিয়ে বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লড়াই করেছিল। বাম, কংগ্রেস একটি আসনও জিততে পারেনি। কিন্তু আইএসএফ খাতা খুলেছিল ডেবিউ ম্যাচেই। বাম-কংগ্রেস জোটের মুখরক্ষা করেছিল। এবার বাংলা দেখছে আরও একটি নতুন রাজনৈতিক দল, জনতা উন্নন পার্টি। ওদিকে আবার আসাদউদ্দিন ওয়েইসির AIMIM-ও মালদা, মুর্শিদাবাদ সহ একাধিক মুসলিম অধ্যুষিত জেলায় অধিকার যাত্রা করছে। অর্থাত্ তাঁরাও প্রার্থী দিতে পারে। সব মিলিয়ে মুসলিম ভোটব্যাঙ্কে একটি বিরাট বদলের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
হুমায়ুনের নতুন দলের প্রতীক
এর আগে ২০১৬ সালে যখন নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়েছিলেন হুমায়ুন। সেই সময় তাঁর প্রতীক ছিল টেবিল। নতুন দলের প্রতীকও কি সেই টেবিল চিহ্নই হবে?