বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর আক্রমণের ঘটনার তথ্য সামনে এল। সেই দেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।
আসক গত ৯ বছরের এই পরিসংখ্যান সামনে আনলেও বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের তরফে জানানো হয়েছে, সংখ্যাটা আরও বেশি। সেগুলি সামনে আসেনি।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছরই আসক প্রতিবেদনের মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের তথ্য সামনে আনে। ২০১৩ সাল থেকে তারা এই তথ্য সামনে আনছে।
জানা গিয়েছে, ২০১৩ সাল থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিন্দুদের উপর বাংলাদেশে ৩ হাজার ৬৭৯টি হামলা হয়েছে। এর মধ্যে দেড় হাজারেরও বেশি বাড়িতে ভাঙচুর ও হামলা চালানো হয়েছে।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা প্রায় সাড়ে ৪০০। এছাড়াও প্রতিমা, পূজামণ্ডপ, মন্দিরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ১ হাজার ৬৭৮টি।
হিন্দুদের সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ২০১৪ সালে। সেই বছর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১ হাজার ২০১টি বাড়িতে ভাঙুচুর চালায় দুষ্কৃতীরা।
এছাড়াও ৭৬১টি হিন্দু বাড়িঘর, ১৯৩টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ২৪৭টি মন্দির-মণ্ডপে হামলা হয় ঐ বছর। তখন নিহত হন এক জন।
ওই মানবাধিকার সংগঠনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৯ বছরে আহত হয়েছেন ৮৬২ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বী। নিহত হয়েছেন ১১ জন। হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানিও করা হয়েছে।