বাংলাদেশের টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এপার বাংলাতেও এখন তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয়।
এপার বাংলার বহু মহিলাদেরও ‘ক্রাশ’ তিনি! সুদর্শন অপূর্বর প্রেমের অভিনয় দেখে মন গলেছে এমন বাঙালি কন্যের সংখ্যা কম না।
কয়েকদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল অভিনেতা বিয়ে করতে চলেছেন। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অভিনেতা গত বৃহস্পতিবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
অপূর্বর স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা, নাম শাম্মা দেওয়ান। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি কনভেনশন সেন্টারে বিয়ের আনুষ্ঠানিক আসর বসেছিল।
লাল টকটকে শাড়ি আর গয়নাতে সেজেছিলে শাম্মা। আর অপূর্ব পরেছিলেন পাঞ্জাবী-পায়জামা। বিয়ের স্টেজ সাজানো হয়েছিল নানা ধারণের ফুলে।
শাম্মা দেওয়ানের আদি বাড়ি ঢাকার লালমাটিয়ায়। তবে তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রে। এর আগে শাম্মার আরেকটি বিয়ে হয়েছিল বলে জানা যায়।
এটি অপূর্বর তৃতীয় ও শাম্মার দ্বিতীয় বিয়ে। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অপূর্বর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে শাম্মার। শাম্মা আমেরিকার নিউইয়র্ক প্রবাসী। বিয়ের জন্য সম্প্রতি ঢাকা এসেছেন তিনি। আগের সংসারে তার একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অপূর্বর সঙ্গে প্রণয় গড়ে ওঠে শাম্মার। তারপরই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
২০১০ সালের ১৯ অগাস্ট অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভাকে বিয়ে করেন অপূর্ব। পরের বছর ফেব্রুয়ারিতেই তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সেই বছরের ১৪ জুলাই পারিবারিকভাবে নাজিয়া হাসান অদিতিকে বিয়ে করেন অপূর্ব। গত বছর ৯ বছরের সংসারজীবনের ইতি টানেন তাঁরা। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ২০২০ সালে বিচ্ছেদের খবর জানান অদিতি। অদিতি ও অপূর্বর একটি সন্তানও রয়েছে।
বিগত কয়েকদিন ধরেই অপূর্বর বিয়ে নিয়ে তোলপাড় হচ্ছিল বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম। এদিকে অপূর্বর প্রাক্তন স্ত্রী নাজিয়া হাসান অদিতির এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সামনে চলে আসে অপূর্বর পরকীয়ার বিষয়টি, যা নতুন করে অভিনেতাকে সমালোচনায় ফেলে দেয়। অদিতি তার প্রাক্তন স্বামীকে ফেসবুকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, ‘চার বছরের প্রেম সফল হলো মাশাআল্লাহ.., নতুন বিয়ের জন্য শুভ কামনা।’ নাজিয়ার এ কথায় স্পষ্ট হয়ে যায় তাদের সংসার ভাঙার কারণ।
অপূর্ব ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমার ভক্ত, দর্শক ও শুভানুধ্যায়ীদের আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমি আমার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছি। শাম্মা দেওয়ান আমার স্ত্রী। তাঁকে নিয়েই আমার এ যাত্রা।’
অপূর্বর দাবি, দুই পরিবারের পছন্দেই বিয়েটা হয়েছে। প্রায় ছয় মাস আগে থেকেই পারিবারিকভাবে কথাবার্তা চলছিল বলে জানান তিনি।