বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্পের সফল ট্রায়াল রান হল। রবিবার ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ি ডিপোতে মেট্রোরেলের এই পরীক্ষামূলক যাত্রার উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এই যাত্রায় ৬টি বগি নিয়ে ভায়াডাক্টের ওপর দিয়ে দিয়াবাড়ি ডিপো থেকে মিরপুর ১২ নম্বর স্টেশন পর্যন্ত গিয়ে আবর ডিপোতে ফিরে আসে মোট্রো।
ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক, বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের প্রতিনিধি, জাইকার বাংলাদেশ অফিস প্রধান ও মেট্রোরেলের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী বছর দেশের তিনটি বড় প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই তিন প্রকল্প হল পদ্মাসেতু, কর্ণফুলী ট্যানেল এবং মেট্রোরেলের লাইন-৬।
বর্তমানে ঢাকার উত্তরা দিয়াবাড়ি মেট্রোরেলের ডিপোতে চার সেটের মোট ২৪টি কোচ পৌঁছেছে, যার প্রথম সেটের ছয়টি ২১ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় সেটের আরও ছয়টি কোচ ১ জুন ঢাকা পৌঁছায়। গত ১১ মে উত্তরার দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেলের ডিপোর ভেতরে প্রথমবারের মত সংবাদ মাধ্যমের সামনে এই বৈদ্যুতিক ট্রেন চালিয়ে দেখানো হয়। ডিএমটিসিএলের অধীনে ঢাকা ও এর আশপাশে মেট্রোরেলের ৬ টি লাইন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর প্রথমটি লাইন-৬। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা।
মেট্রোরেল লাইন-৬ এর জন্য গত ২০১৭ সালে জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি কনসোর্টিয়ামকে ২৪ সেট ট্রেন নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দুই পাশে দুটি ইঞ্জিন আর চারটি কোচের সমন্বয়ে ট্রেনের সেটগুলো তৈরি হচ্ছে জাপানে। ডিএমটিসিএল এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০.১০ কিলোমিটার লাইনের সমন্বিত অগ্রগতি হয়েছে ৬৬.৪৯ শতাংশ। আর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার লাইনের অগ্রগতি ৮৮.১৮ শতাংশ।
২০২৪ সালের মধ্যে পুরো প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে উত্তরা থেকে আগাগাঁও পর্যন্ত প্রকল্প শেষ করার নতুন লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত শেষ করার লক্ষ্য ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ এর প্রভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নে নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়।