scorecardresearch
 

Pori Moni Video:তাঁর ফোন থেকেই ভাইরাল হয় ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও! বিস্ফোরক পরীর ইঙ্গিত কোন দিকে?

গত ১০ আগস্ট সন্ধ্যায় ইলিয়াস হোসাইন নামে এক ইউটিউব চ্যানেল থেকে আপলোড করা হয়েছিল পরীমনি ও পুলিশকর্তার গোপন ভিডিও। ক্যাপশনে বলা হয়, ‘পরীমনি ও পুলিশ কর্মকর্তা সাকলাইনের গোপন ভিডিও!' সেই ভিডিওর জেরে ছি-ছি-কার পড়ে গিয়েছিল পরিমণিকে নিয়ে। জেল থেকে বেড়িয়ে এবার বিস্ফোরক জবাব দিলেন পরীমনি।

Advertisement
জেল থেকে মুক্তি পেয়ে  মুখ খুললেন পরীমনি জেল থেকে মুক্তি পেয়ে মুখ খুললেন পরীমনি
হাইলাইটস
  • 'আমার ব্যক্তিগত ভিডিও লিক করার অধিকার কারও নেই'
  • তাঁর সঙ্গে যা যা ঘটেছে তা সবটাই বলবেন বলে জানিয়েছেন পরীমনি

মাদকের মামলায় প্রায় এক মাস কারাগারে ছিলেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনি। গত বুধবার ছাড়া পেয়েছেন তিনি। আর এবার পুলিশকর্তার সঙ্গে তাঁর ফাঁস হওয়া  ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন নায়িকা। গত ১০ আগস্ট সন্ধ্যায় ইলিয়াস হোসাইন নামে এক  ইউটিউব চ্যানেল থেকে আপলোড করা হয়েছিল পরীমনি ও পুলিশকর্তার গোপন ভিডিও। ক্যাপশনে বলা হয়, ‘পরীমনি ও পুলিশ কর্মকর্তা সাকলাইনের গোপন ভিডিও!'   সেই ভিডিওর জেরে ছি-ছি-কার পড়ে গিয়েছিল পরিমণিকে নিয়ে। জেল থেকে বেড়িয়ে এবার বিস্ফোরক জবাব দিলেন পরীমনি। 

 জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমকে পরীমণি বলেচেন, 'আমার ফোন, গাড়ি সব তদন্তকারীরা নিয়ে নিয়েছে। যেসব ভিডিও বাইরে এসেছে সেগুলি সব ওই ফোনেই ছিল। আমার ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস করার অধিকার কারও নেই।' রিমান্ডের অভিজ্ঞতা নিয়ে ঢালিউড নায়িকা বলেন, সেভাবে হয়রানি করেনি তারা আমাকে। কি হয়েছে সবই আমি বলব। 

 

 

কোন দিকে নিশানা করছেন পরীমনি?
পরিমণির সাফ মন্তব্য, তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে শুরু করে মোবাইল ফোন সবই তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের কাছে। তাঁর ফেনেই ছিল ওই ভিডিও, সেখান থেকেই ফাঁস করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিনেত্রী সপাট উত্তর, “আমার ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস করার কোনও অধিকার নেই কারও।” এখানেই শেষ নয়, তিনি এও জানান যে, বনানীর বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। পরীর এই বক্তব্যের পর প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি নেট মাধ্যমে ভিডিও ফাঁস করেছিল গোয়েন্দা বিভাগ?

আরও পড়ুন: সাকিবের কাছাকাছি পরীমনি! পিছিয়ে পড়লেন মুশফিকুর রহিম

 শাকলায়েন এখন কোথায়? 
পরীমনি গ্রেফতার হওয়ার পরেই তাঁর বেশকিছু ব্যক্তিগত ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় ৷ সেগুলি নেট দুনিয়ায় ভালোমতোই ছড়িয়ে পড়ে ৷ পরীমনির সঙ্গে একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল ঢাকার এক পুলিশকর্তা  গোলাম সাকলায়েনকে ৷ অভিনেত্রীর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়েও অনেক চর্চা শুরু হয় সর্বত্র। তার জেরে  শাস্তি পেতে হয় বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনের গুলশন বিভাগের এডিসি মহম্মদ গোলাম শাকলায়েনকে। যার পরেই তদন্তের ভার থেকে শাকলায়েনকে সরিয়ে দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এমনকি তাঁর এই 'অপেশাদার আচরণের' জবাবদিহি করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। 

Advertisement

আরও পড়ুন: আমি কী এমন করেছি? এবার পাল্টা প্রশ্ন পরীমনির

পরীমনির বক্তব্য
ভাইরাল  ভিডিওতে সাফ দেখা গিয়েছিল, পরীমনি নিজের ঠোঁটে কেক ধরে রেখে পুলিশ অফিসারের মুখে দিয়ে দিচ্ছেন। চোখ-মুখে খুশির ঝলক। ওদিকে লাস্যময়ীর সংস্পর্শে পুলিশকর্তা শাকলায়েনকেও বেজায় উচ্ছ্বসিত দেখা গিয়েছিল ভিডিওতে। পুলিশ অফিসারের সঙ্গে ওই ভিডিও ফাঁস হওয়ায় নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পরিমণি। তাঁর  মন্তব্য, “আমি কী এমন করেছি? যদি প্রকৃত দোষী হতাম, তাহলে ভেঙে পড়তাম। কিন্তু আমি তো প্রথম থেকেই শক্ত রয়েছি। আমার সঙ্গে যা যা ঘটেছে, তার সবটাই বলব। শুধু কয়েকটা দিন সময় দিন আমাকে। খুব মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছি আমি।” 

 

Advertisement