পরীমনি বর্তমানে জেলে বন্দি। ঢাকার বনানী থানায় করা মাদক মামলায় গত সোমবার পরীমনির জামিন আবেদন করা হয়েছে। ঢাকার মুখ্য মহানগন হাকিম (সিএমএম) রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালতে পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান জামিন আবেদন করেন। আগামী বুধবার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত। বর্তমানে কাশিমপুরের মিহলা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি। পরীর মুক্তি চেয়ে দেরিতে একে একে মুখ খুলছেন বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবি ও শিল্পীসামজ। পিছিয়ে থাকলেন না হিরো আলমও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হিরো আলম ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রীর মুক্তি চেয়েছেন। বরং পরীর বাড়িতে যারা মাদক সরবরাহ করেছিল তাঁদেরও ধরা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হিরো আলম।
সম্প্রতিএ ফডিসিতে এসেছিলেন হিরো আলম। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হিরো আলম বলেন, পরীমনির মদ্য পানের লাইসেন্স রয়েছে। তার বাড়িতে মদের বোতল থাকতেই পারে। লকডাউনে সে কোথায় যাবে। সব তো বন্ধ। তাই হয়তো বাড়িতে মদ রেখেছিল। আর তাকে কারা মদ সাপ্লাই দিয়েছে তাদের ধরা উচিত। খালি মদের বোতলই তো ছিল ৫০টির ওপরে। আমি পরীমনির মুক্তি চাই।
মদের বোতলের প্রসঙ্গে হিরো আলমকে পাল্টা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার বাড়িতে খালি বা ভর্তি কোনো মদের বোতল নেই। কারণ আমি মদ্যপান করি না।
এর আগে পরীমণির পক্ষ নিয়ে গান গেয়েছিলেন তিনি। পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার সুষ্ঠু বিচার দাবি জানিয়ে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম নিজের ইউটিউব চ্যানেলে গান গেয়েছিলেন। গানটি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। গানটির বক্তব্য ছিল - ‘শিল্পী হয়ে শিল্পের প্রতি অসম্মান সইব না , শিল্পী হয়ে শিল্পীর অপমান সইব না, উই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর পরীমনি।’
তবে সদ্য প্রকাশিত গানে মডেল পিয়াসা, মৌ ও পরীমণিকে ধুয়ে দিয়েছিলেন আলম।
তবে এবার ফের পরীর পক্ষে কথা বলা শুরু করেছেন তিনি।
নিজের ইউটিউবেও নায়িকার পক্ষ নিয়ে ভিডিও প্রকাশ করেছেন হিরো আলম।