কথায় আছে, ‘পীরিতি কাঁঠালের আঠা,লাগলে পড়ে ছাড়ে না’। এবার সত্যি সত্যিই এহেন পীরিতির সাক্ষী থাকল প্রতিবেশী বাংলাদেশ। ৯০ বছরের বৃদ্ধ বিয়ে করলেন তাঁর চেয়ে প্রায় অর্ধেক বয়সী ছোট কনেকে। প্রসঙ্গত, ৯০ বছর বয়সে বিয়ে করে রীতিমত হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার আইনজীবী সমিতির পাঁচবারের প্রাক্তন সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল। গত সোমবার বর-কনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বাংলাদেশ জুড়ে তাঁর বিয়ে নিয়ে চলছে আলোচনা। নেটিজেনরা নবদম্পতিকে শুভকামনা জানিয়েছেন। অনেকে তাঁকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্টও করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত রবিবার মোহাম্মদ ইসমাইল বিয়ে করেছেব মিনোয়ারা বেগম (৪৫) নামের এক মিহালাকে। কনের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। থাকেন কুমিল্লা শহরেই।
কেন বিয়ে করলেন জানালেন পাত্র
কুমিল্লার আইনজীবী সমিতির প্রবীণ সদস্য মোহাম্মদ ইসমাইল ১৯৪৭ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৪৯ সালে ইন্টারমিডিয়েট ও পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে পড়াশোনা করেন। তিনি ফজলুল হক হলের ছাত্র ছিলেন।এহেন পাত্র মোহাম্মদ ইসমাইল বাংলাদেশি সংবাদপত্র প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান তাঁর সহপাঠী ও হলের রুমমেট ছিলেন। ১৯৭০ সালের ২ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার আদালতে আইন পেশায় তিনি যোগদান করেন। এরই মধ্যে পাঁচবার সভাপতি নির্বাচিত হন। সাত বছর আগে তাঁর স্ত্রী গত হয়েছেন। তাঁর পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। এখন জীবনে একজন সঙ্গী দরকার, তাই তিনি মিনোয়ারা বেগমকে বেছে নিয়েছেন।
নিজেকে সক্ষম বলে দাবি পাত্রের
মোহাম্মদ ইসমাইল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আমি সক্ষম মানুষ। এখনো কোর্টে যাই। বয়স আমার জন্য কোনো বাধা নয়। ইচ্ছাশক্তি ও সঙ্গীর জন্যই বিয়ে করি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। সবার কাছে দোয়া চাই।’ হালকা–পাতলা গড়নের মোহাম্মদ ইসমাইলের মাথার পুরো চুল সাদা। ফর্সা রং। সব সময় কোর্ট-টাই পরে চলেন। বিয়ের পর ব্যক্তিগত গাড়িতে করে আদালত এলাকার বাড়িতে নববধূকে নিয়ে যান মোহাম্মদ ইসমাইল। বধূবেশে পাশে থাকা মিনোয়ারা বেগমের সঙ্গে তাঁর গাড়িতে বসে থাকার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছ্। এ নিয়ে নানা মন্তব্য যুক্ত করে পোস্ট শেয়ার করেন নেটিজেনরা। অনেকে অভিনন্দনও জানান।