৩ জুলাই যৌথ বিবৃতি দিয়ে নিজেদের ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করলেন বলিউডের তারকা জুটি আমির খান (Aamir Khan) ও কিরণ রাও (Kiran Rao)। তবে এই বিবাহবিচ্ছেদকে সমাপ্তি হিসাবে না দেখে একটি নতুন যাত্রার সূচনা করতে চান তাঁরা।
মিস্টার পারফেকশনিস্টের বিয়ের দ্বিতীয় ইনিংসকেও দূর থেকে দেখে একেবারে 'পারফেক্ট' বলেই ভাবতেন বেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু সকলের সেই ধারণায় ইতি টেনে হঠাৎই এই অবাক করা ঘোষণা করলেন তাঁরা।
যদিও বিচ্ছেদের পরও সম্পর্কে কোনও রকম তিক্ততা আসবেন না তাঁদের, এমনটাই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন আমির -কিরণ। এমনকি চলচ্চিত্র, পানী ফাউন্ডেশন এবং অন্যান্য প্রোজেক্টে সহযোগী হিসাবে কাজ চালিয়ে যাবেন তাঁরা।
আমির -কিরণের লাভ স্টোরিও শুরু হয়েছিল আসলে কাজের মাধ্যমেই। ২০০০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আশুতোষ গোয়ারিকরের বক্স অফিস হিট করা ছবি 'লগান'-এ সহ-পরিচালকের কাজ করেছিলেন কিরণ রাও। অন্যদিকে ভুবনের চরিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি এই ছবি প্রযোজনাও করেছিলেন আমির।
এই ছবির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আমির খানের প্রথম স্ত্রী রীনা দত্তও। 'লগান'- এ কিরণের কাজের দক্ষতা ও উৎসাহ দেখে খুশি হয়েছিলেন আশুতোষ গোয়ারিকর। এমনকি তাঁর কাজ পছন্দ হয়েছিল ছবির সঙ্গে যুক্ত বাকীদেরও। এরপর আশুতোষের সঙ্গে কাজ শুরু করেন কিরণ। এমনকি রিনারও কাজের দেখাশোনা করার দায়িত্বও ছিল তাঁর ওপর।
কিন্তু ২০০২ সালে আমির - রীনার দীর্ঘ ১৪ বছরের বিবাহ জীবনের বিচ্ছেদ হয়। ফলস্বরূপ গভীর শূণ্যতার সৃষ্টি হয়েছিল অভিনেতার জীবনে। সেই সময় ধীরে ধীরে একে অপরের আরও কাছে আসতে শুরু করেন আমির খান ও কিরণ রাও।
প্রথমে লিভ ইন করতে শুরু করেন তাঁরা। তিন বছরে একসঙ্গে থাকার পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ২০০৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিয়ে করেন আমির- কিরণ। তবে সম্পর্ক নিয়ে লুকোছাপা করেননি তাঁরা। কিরণের কথা নিজেই প্রকাশ্য এনেছিলেন আমির।
বিয়ের ছয় বছর পর ২০১১ সালে সারোগেসি পদ্ধতির মাধ্যমে জন্ম হয় তাঁদের ছেলে আজাদ রাও খানের (Azad Rao Khan)। বিভিন্ন অনুষ্ঠান কিংবা ফিল্মি পার্টিতে ছেলেকে নিয়ে যেতেন তাঁরা।
এই মুহূর্তে তাঁদের ছেলে আজাদের কাস্টডি কার কাছে থাকবে তা জানা যায়নি। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, আজাদের একনিষ্ঠ অভিভাবকের মতো, ওকে একসঙ্গেই যত্নে বড় করবেন তাঁরা।