কথায় বলে, প্রেমের কোনও ধর্ম নেই। এই কথাটি গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রির অনেক তারকারা বারবার প্রমাণ করেছেন। একাধিক অভিনেতারা নিজেদের ভালোবাসার জন্য ধর্মের প্রাচীর ভেঙেছেন। এরকম কিছু ছোট থেকে বড় পর্দার তারকাদের কথা জানুন, যারা সমাজের কথা চিন্তা না করেই অন্য ধর্মের সঙ্গীকে বিয়ে করার জন্য ধর্ম পরিবর্তন করেছেন।
'ওয়ান্টেড' ছবির মাধ্যমে পরিচিতি পেয়েছিলেন অভিনেত্রী আয়েসা টাকিয়া। তাঁর প্রেমিক ফারহান আজমিকে বিয়ে করার জন্য আয়েসা ধর্ম পরিবর্তন করেছিলেন। তিনি তাঁর ভালোবাসার স্বার্থে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। ফারহার -আয়েসার একটি ছেলেও রয়েছে।
অভিনেত্রী অমৃতা সিং একটি পঞ্জাবী মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ছোটবেলা থেকেই শিখ ধর্ম অনুসরণ করতেন তিনি। কিন্তু অভিনেতা সইফ আলি খানকে বিয়ে করতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন অমৃতা। ইসলামিক মতে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু বিয়ের ১৩ বছর পরে ২০০৪ সালে, তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। সইফ- অমৃতার দুই সন্তান সারা ও ইব্রাহিম মায়ের সঙ্গে থাকলেও, বাবার সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক আছে।
ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর এভারগ্রীন জুটি আজও ফ্যানেদের কাছে প্রিয়। আগে থেকে বিবাহিত ধর্মেন্দ্র, হেমা মালিনীর প্রেমে পড়েন। তিনি তাঁর স্ত্রীয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ করতে চাননি। তবে হিন্দু বিবাহ আইন অনুসারে একটি সঙ্গে দুটো বিয়ে করা যায়নি। তাই হেমা মালিনীকে বিয়ে করার জন্য, ধর্মেন্দ্র ইসলাম গ্রহণ করেন। সেই থেকে ধর্মেন্দ্রর দুটি আলাদা পরিবার রয়েছে।
এক সময়ের অন্যতম সুন্দরী অভিনেত্রী ছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। তিনি কিংবদন্তি ক্রিকেটার মনসুর আলী পতৌদির প্রেমে পড়েছিলেন। শর্মিলা তাঁকে বিয়ে করার জন্য ইসলাম গ্রহণ করেছিল। বিয়ের পরে তার নাম হয় আয়েসা বেগম। শর্মিলা-মনসুর আলী পতৌদির তিন সন্তান সইফ আলি খান, সাবা, সোহা আলি খান।
টেলিভিশন অভিনেত্রী দীপিকা কক্কর ইব্রাহিম তাঁর সহ-অভিনেতা শোয়েব ইব্রাহিমকে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পরে দীপিকা ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, এরপর তাঁর নাম ফয়জা লেখা হয়। দীপিকা কক্করকে তাঁর এই সিদ্ধান্তের জন্য ট্রোলিংয়ের স্বীকার হতে হয়েছিল।
অভিনেত্রী হ্যাজেল কিচ বিয়ে করেছেন ভারতীয় ক্রিকেটার যুবরাজ সিং-কে। যুবরাজকে বিয়ে করতে শিখ ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন হেজেল। বিয়ের পরে তাঁর নাম হয় গুড়বসন্ত কৌর হয়।