সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন করিনা কাপুর খান। গতকাল রাতে তাঁকে ব্রিজ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এই খবরে খুশির হাওয়া বলি মহলে। ২০১৬ সালে প্রথমবার অভিভাবক হন সইফিনার। প্রথম সন্তান তৈমুরের জন্ম হয়। ২০২০-র অগস্টে বলিউডের অন্যতম হটেস্ট কাপল ঘোষণা করেন তাঁদের ঘরে দ্বিতীয় সন্তান আসছে। নাতির জন্মের খবরে কাপুর এবং পতৌদি পরিবারে স্বভাবতই খুশির হাওয়া।
একাধিক সাক্ষাৎকারে করিনা জানান, প্রথম প্রেগনেন্সির সময় তিনি যথেষ্ট নার্ভাস ছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় সন্তানের ক্ষেত্রে তেমনটা নন। কারণ ৪-৫ বছরের মাতৃত্বের ট্রেনিং ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছেন।
দ্বিতীয় সন্তান জন্মের আগে থেকেই সইফ-করিনা প্রস্তুতি শুরু করেন। পুরনো বাড়ি ছেড়ে নতুন বাড়িতে উঠে যান তাঁরা। সেখানে বড় লাইব্রেরি, খেলার জন্য বড় টেরেস, সুইমিং পুল তো রয়েইছে। তার সঙ্গে নতুন অতিথির জন্য তৈরি হয়েছে একটা নার্সারিও।
প্রেগনেন্ট থাকাকালীন করিনাও শুটিংয়ের ডেট পিছোননি। লক ডাউনেও দিল্লিতে শুটিং করেছেন করিনা। আমির খানের আগামী ছবি লাল সিং চাড্ডায় দেখা যাবে বেবোকে। প্রথম প্রেগনেন্সির সময়ও কাজের মধ্যেই নিজেকে ব্যস্ত রাখতেন বেবো। দ্বিতীয় প্রেগনেন্সির সময়ও তার অন্যথা হয়নি। প্রেগনেন্ট থাকাকালীন নিজের বাড়িকেই মাঝে মধ্যে শুটিং ফ্লোর বানিয়েছেন। যেখানে তিনি একাধিক বিজ্ঞাপন শুটিংও করেন। এখটি সাক্ষাৎকারে করিনা বলেন, 'প্রেগনেন্ট হলে কাজ করা যাবে না কেন এটা আমার মাথায় ঢোকে না। আমি গোটা প্রেগনেন্সির সময় কাজ করেছি। এতে মা এবং বাচ্চার স্বাস্থ্য ভালো থাকে।'
মাঝে বেশ কিছু দিন ধরমশালায় পরিবার বন্ধুদের নিয়ে ছুটি কাটান করিনা। সেখানে পরবর্তী ছবির শুটিং করছিলেন সইফ আলি খান। করণ জোহরের বড় ছবি তখত-এ দেখা যাবে করিনাকে। আপাতত মাতৃত্বকালীন ছুটিতেই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন।