চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে এবং সিনেমার বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য যৌনতা এখন খুবই সাধারণ বিষয়। বিশেষত হলিউড মুভিতে। কিন্তু ৯ দশক আগে তা ছিল না। তখন সিনেমায় এখন খোলামেলা যৌনতা দেখানো যেত না। দেখালেও তা ব্যান করা হত। ঠিক এমনটাই হয়েছিল আজ থেকে ৮৮ বছর আগে। অশ্লীলতার দায়ে আমেরিকায় ব্যান করা হয়েছিল সিনেমাটি। এই সিনেমায় প্রথম নগ্ন দৃশ্য এবং যৌনতার দৃশ্য শুট করা হয়েছিল। জেনে নিন তার ইতিহাস।
১৯৩৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল ইরোটিক ড্রামা এক্সটাসি (Ecstasy). ছবির পরিচালক ছিলেন চেক চিত্রনির্মাতা Gustav Machatý ছবির পরিচালনা করেছিলেন।
অস্ট্রিয়ান অভিনেত্রী হেডি লামার (Hedy Lamarr) এই ছবিতে ইভা-র চরিত্রে অভিনয় করেন। ইভা যুবতী বধূ, যার সঙ্গে বিয়ে হয়েছে বয়সে তাঁর চেয়ে অনেক বড় একজন পুরুষের সঙ্গে। ফলে ইভার জীবনে প্রেম এবং যৌনতা ছিল না।
ছবির একটি দৃশ্য হেডি লামার নগ্ন হয়ে জলে সাঁতার কাটার দৃশ্য শুট করা হয় ছবিতে। দেখানো হয় একটি ঘোড়া তাঁর পোশাক নিয়ে পালিয়ে যায়, ইভা নগ্ন অবস্থাতেই ঘোড়াটিকে থামানোর চেষ্টা করে।
সে সময় এক যুবক ঘোড়াটিকে থামায় এবং গাছের আড়েলে লুকিয়ে পড়া ইভাকে তাঁর পোশাক ফেতর দেয়। দুজনের কথাবার্তা হয় এবং ইভার তাকে ভালো লেগে যায়। ইভা সেই যুবককে সেক্সুয়ালি সিডিউস করেন এবং তাঁদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক হয়। প্রায় দেড় মিনিট ধরে সেই দৃশ্য দেখানো হয় সিনেমায়।
সে সময় এমন দৃশ্য আগে কোনও সিনেমায় দেখানো হয়নি, যেখানে কোনও নারী সম্পূর্ণ নগ্ন ছিলেন। এক্সটাসি প্রথম ছবি ছিল যাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যান করা হয়েছিল।
১৯৩৬-এ ছবির রি-এডিটেড ভার্শান আমেরিকায় মুক্তি পায়। তবে তখনও বেশ কিছু রাজ্যে ব্যান ছিল। ১৯৪০-এ ছবিটি ছাড়পত্র পায় ডিস্ট্রিবিউশনের জন্য।
ইভার চরিত্রে অভিনয় করা হেডি লামার-এর জীবনে বহু দিন পর্যন্ত ছবির সঙ্গে জুড়ি গিয়েছিল। ১৯৩৮ সালে তাঁকে নিয়ে একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় যার নাম ছিল Famed through Europe and America as Ecstasy Girl.
প্রবন্ধে হেডি লামারের বক্তব্য ছাপা হয়েছিল, যেখানে তিনি জানান, মানুষ তাঁর দিকে অদ্ভূত ভাবে তাকাতেন ছবি মুক্তির পর থেকে। যেন চিড়িয়াখানায় কোনও নতুন জানোয়ার দেখছেন তাঁরা।