
'খুকুমণি হোম ডেলিভারি 'ধারাবাহিকের মাধ্যমে দর্শকদের মনের একেবারে কাছে পৌঁছেছিলেন দীপান্বিতা রক্ষিত (Dipannita Rakshit)। তাঁর 'পেঁপে দিয়ে চেপে...' সংলাপ আজও জনপ্রিয়। স্টার জলসার এই মেগা শেষ হয়ে যাওয়ার পর বেজায় মন খারাপ ছিল 'খুকুমণি'র ফ্যানেদের। নতুন ভাবে আসছেন তাদের সকলের প্রিয় 'খুকু'। এবার ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ডেবিউ করছেন টেলি নায়িকা। রাজদীপ ঘোষের পরিচালনায় আসছে নতুন ওয়েব সিরিজ 'প্রফেসর সেনগুপ্ত'। মঙ্গলবার প্রকাশ্যে এল চরিত্র লুক।
রোড এন্টারটেনমেন্ট ও ফিল্ম্স অ্যান্ড ফ্রেম্স যৌথ প্রযোজনায় ক্লিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আসছে 'প্রফেসর সেনগুপ্ত'। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন জয় সেনগুপ্ত, দীপান্বিতা রক্ষিত, জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুজা রায়, জিৎসুন্দর চক্রবর্তীর মতো শিল্পীরা। থ্রিলারধর্মী এই সিরিজটি আসছে আগামী জুলাই মাসে।
রাজদীপ ঘোষ জানান, "যখন ক্লিক প্রথম এই প্রজেক্ট নিয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং আমি গল্পটি শুনি, তখনই বুঝতে পারি যে এটি এমন একটি গল্প যা আমি আগে কখনও করিনি। সব সময়ই এই ধরণের গল্প নিয়ে কাজ করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সুযোগটি আমার কাছে আসেনি - এখনও পর্যন্ত। স্বাভাবিকভাবেই, উত্তেজনা ছিল অপরিসীম। আমরা বিভিন্ন স্থানে শ্যুটিং করেছি। যদিও আমরা অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি, কিন্তু পুরো টিমের অটল সমর্থন আমাদের এই গল্পটিকে জীবন্ত করে তুলতে সাহায্য করেছে।"
জয় সেনগুপ্তর কথায়, "এটা ছিল ক্লিক এর সঙ্গে আমার প্রথম বাংলা ওয়েব সিরিজ। কাজটা মানসিকভাবে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং লেগেছে। মানসিক বিপর্যয়ের স্মৃতি ও লালসার টানাপোড়েন, সংস্কার ও নৃশংসতার দ্বন্দ্ব-সব কিছুর ভারসাম্য বজায় রেখে এগোনো। এই প্রজেক্টের পরিচালক রাজদীপ ঘোষ ও তাঁর টিমের মধ্যে এক অসাধারণ মানসিকতা দেখেছি, যেটা আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে দুর্লভ। চিত্রনাট্য কিংবা সীমিত কোনও পরিধির গণ্ডিতে আটকে না থেকে একটা নির্দিষ্ট ভিশন পূরণের আকাঙ্ক্ষা। রাজদীপ ও চিত্রগ্রাহক শুভজিত রায় মিলে সেই ভিশনকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কারিগরি দক্ষতা ও শৈল্পিক নিপূনতা নিয়ে এসেছেন, যা একটি মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করি দর্শকরা এই প্রজেক্টের পরিশ্রম ও সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করবেন ও প্রশংসা করবেন।"
দিপান্বীতা রক্ষিত বলেন, "এটা আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ। আমি খুবই আনন্দিত। সহ-অভিনেতারা দারুণ ছিলেন এবং শ্যুটিং সেটে আমাদের খুব স্বাচ্ছন্দ্যের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। যদিও মনোরম পাহাড়ে শ্যুটিংয়ের সময়সূচি খুবই ব্যস্ত ছিল এবং আবহাওয়া কখনও কখনও বেশ বিপজ্জনক ছিল, আমি ছোট এই অ্যাডভেঞ্চারের অভিজ্ঞতাটি পুরোপুরি উপভোগ করেছি। 'প্রফেসর সেনগুপ্ত' একটি গভীর স্তরযুক্ত গল্প এবং আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি যে আমি জয় সেনগুপ্ত এবং জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রতিভাবান সিনিয়রদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, যাদের আমি ছোটবেলা থেকে পর্দায় দেখে বড় হয়েছি। আমার সমসাময়িক জিৎসুন্দর এবং অনুজার সঙ্গে অভিনয় করেও খুব উপভোগ করেছি।"
অভিনেত্রী যোগ করেন, "সরল, তরুণ কর্মজীবী মেয়ে শ্রেষ্ঠার চরিত্র ফুটিয়ে তোলা একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা ছিল। সে তার কাজ এবং ভালোবাসার জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখে। সে একজন সাধারণ, সুন্দরী মেয়ে যার মুখে সব সময় হাসি লেগে থাকে এবং সে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারে ও মানুষের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা তৈরী করতে পারে।"