ফেব্রুয়ারিতে আংটি পরিয়ে প্রোপোজ করেছিলেন প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তী। গত মাসের ২৭ এপ্রিল গড়ফার ফ্ল্যাটে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। কিন্তু এক মাস কাটার আগেই করুণ পরিণতি অভিনেত্রী পল্লবী দে-র।
রবিবার আবাসনের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ। মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়। ২৪ ঘণ্টা আগেও তিনি ইনস্টায় রিল করেছেন। ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। দেখে মনেই হয়নি তাঁর মনে অবসাদ জমে রয়েছে। পল্লবীর বাবার দাবি, প্রাণবন্ত মেয়ে আত্মহত্যা করতেই পারেন না।
আদতে পল্লবীর বাড়ি হাওড়ার রামরাজাতলায়। গড়ফার ফ্ল্যাটে প্রেমিকের সঙ্গে লিভ-ইন করতেন পল্লবী। মাসখানেকও হয়নি ওই ফ্ল্যাটে তাঁরা একত্রে থাকছেন।
সাগ্নিকের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে গোপনীয়তার ধার ধারেননি পল্লবী। খুল্লামখুল্লা ভালবাসার প্রকাশ করেছেন নেট মাধ্যমে। সাগ্নিক ও তাঁর নানা মুহূর্তের ছবি ধরা রয়েছে ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুক অ্যাকাউন্টে।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ছিল পল্লবীর জন্মদিন। ওই দিন প্রেমিকাকে সারপ্রাইজ দিয়েছিলেন সাগ্নিক চক্রবর্তী। কেকের মধ্যে আংটি লুকিয়ে রেখেছিলেন। পরে তা পল্লবীকে পরিয়ে প্রোপোজ করেন। উচ্ছ্বাসে লাফিয়ে ওঠেন অভিনেত্রী।
ইনস্টাগ্রাম বলছে গত ২৬ এপ্রিল গৃহপ্রবেশ করেছিলেন পল্লবী। ভাড়ার ফ্ল্যাটেই পুজো দিয়েছিলেন। আবাসনের কেয়ারটেকারের স্ত্রী জানান, পল্লবীরা ২৭ এপ্রিল ওই ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন। তাঁরা যে বিবাহিত নন সেটা জানতেন না।
সাগ্নিকের সঙ্গে থাকতেই গড়ফার ওই ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন পল্লবী। তাঁদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছিলেন অভিনেত্রীর পরিবার। তবে সাগ্নিকের বাড়ির লোকের আপত্তি ছিল।
রবিবার সকাল ১০টায় পল্লবীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে আবাসনের কেয়ারটেকারকে জানান সাগ্নিক। খবর দেন পল্লবীর বাড়িতে।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে, আগের দিন রাতে কথা কাটাকাটি হয়েছিল দু'জনের। সেখান থেকে এই পরিণতি কিনা তা এখনও বলা সম্ভব নয়। কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি।
পল্লবীর বাবার অভিযোগ, মেয়ে আত্মহত্যা করতেই পারে না। কালও কথা হয়েছে। আর ভাই জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে অপেক্ষায় রয়েছে পরিবার।
পুলিশকে সাগ্নিক জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তিনি বাইরে ছিলেন। বাড়ি ফিরে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পল্লবীকে।
'আমি সিরাজের বেগম' ধারাবাহিকে সিরাজের স্ত্রী লুৎফা-র চরিত্রে বড় ব্রেক পেয়েছিলেন পল্লবী। বর্তমানে 'মন মানে না' নামে একটি ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছিলেন।